ভাস্কর ঘোষ, বেলুড়: আজ মহাসপ্তমী (Mahasaptami) ৷ শাস্ত্রমতে পুজো (Durga Pujo) শুরু ৷ সপরিবারের মা দুর্গার পিতৃগৃহে প্রবেশের দিন ৷ দেবীর নবপত্রিকা (Nabapatrika) স্নান ও প্রাণ প্রতিষ্ঠাই সপ্তমী পুজোর মুখ্য আচার ৷ কৃষি প্রধান বাংলায় ৯টি ওষধি বৃক্ষকে ও ৯ দেবীজ্ঞানে চলে এই স্নানপর্ব। এগুলি হল কলা, কচু, হলুদ, জয়ন্তী, বেল, ডালিম, অশোক, মান ও ধান। নবপত্রিকার পরই দেবীর মহাস্নান। তারপর ঘটে দেবীর প্রাণপ্রতিষ্ঠা করে শুরু মহাপুজো। সপ্তমীর সকাল থেকেই ভিড় জমতে শুরু করেছে বিভিন্ন মণ্ডপে৷ ঢাকের বাদ্যিতে জমজমাট সপ্তমীর পুজো।
চিরাচরিত রীতি এবং ঐতিহ্য মেনে মহাসপ্তমীর মহাপুজো অনুষ্ঠিত হল বেলুড় মঠে৷ ভোরে মঙ্গলারতি শেষে বিভিন্ন উপাচার-সহ স্নানের পর নবপত্রিকাকে আনা হয় মণ্ডপে৷ তারপর প্রতিমার চক্ষুদান ও প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর, বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে পুজো শুরু ৷ করা হয়েছে ভোগের আয়োজনও। আজ থেকে পুজোর ক’দিন সারাদিন খোলা থাকবে বেলুড় মঠ।
আরও পড়ুন, আজ সপ্তমী, গঙ্গার ঘাটে নবপত্রিকা স্নানের পর দেবীর প্রাণ প্রতিষ্ঠা
সপ্তমীর ভোরে ঘাটে ঘাটে ভিড়৷ ঊষালগ্নে নবপত্রিকা স্নান৷ দেবীকে ন’টি বৃক্ষরূপে কল্পনা৷ নবপত্রিকার মধ্যে দিয়েই প্রকৃতির সঙ্গে দেবীর এক চিরন্তন সম্পর্ক স্থাপন হয়৷ নব পত্রিকা স্নানের পরে একে একে চক্ষুদান, প্রাণপ্রতিষ্ঠা৷ কলকাতার জাজেস ঘাটে সকাল থেকেই ভিড়। কলাবউকে স্নান করিয়ে মণ্ডপে বা বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পালা। মহা সপ্তমীর সকালে কাটোয়ার ভাগীরথী ঘাটেও চলছে নবপত্রিকা স্নান। কলাবউকে স্নান করিয়ে নতুন বস্ত্র পরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মণ্ডপে।
অন্যদিকে, সপ্তমীর সকালে পুজো হল শোভাবাজার রাজবাড়িতে৷ এদিন সকালে ব্যান্ডপার্টি নিয়ে শোভাযাত্রা করে গঙ্গার ঘাটে স্নান করানো হয় কলাবউকে৷ তারপর সব রীতিনীতি মেনে সপ্তমীর পুজো এবং পুষ্পাঞ্জলির পালা৷ প্রায় দুই শতাব্দী প্রাচীন এই পুজো উপলক্ষ্যে শোভাবাজার রাজবাড়িতে জড়ো হয়েছেন আত্মীয়-পরিজনেরা৷ দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পরিবারের সদস্যরা সব কাজ ফেলে মেতে উঠেছেন শারদোত্সবের আনন্দে৷ পুজোর পাশাপাশি, শোভাবাজার রাজ পরিবারে চলছে ভোগরান্নার প্রস্তুতি৷ রীতি অনুযায়ী এই বাড়িতে অন্যান্য খাবারের সঙ্গে মিঠাই ভোগ দেওয়া হয়৷