জয়ন্ত রায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মহেশতলায় হেলথ সেন্টারে ঢুকে তৃণমূল কাউন্সিলরের সচিবকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল দলেরই যুব সভাপতির বিরুদ্ধে। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে আইসির বদলি চাইলেন বিধায়ক ও কাউন্সিলর। ঘটনা ঘিরে সামনে এসে পড়ল তৃণমূলের অন্দরের বিবাদ। তৃণমূল কাউন্সিলরের সচিবের দাবি, মহেশতলা থানায় সিসি ক্যামেরা ফুটেজ জমা দেওয়ার পরও যুব তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর করা হয়নি। সেই নিয়েই ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূলের কাউন্সিলর ও বিধায়ক। যদিও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন যুব তৃণমূল সভাপতি।


এ প্রসঙ্গে মহেশতলা পুরসভার ২৩ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুমনা মুখোপাধ্যায় বলছেন, তাই আমি বলছি, অবিলম্বে যদি এই আইসি বদলি করা হয়, মহেশতলার ছবিটা পাল্টে যাবে। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে আইসির বদলি দাবি করে তৃণমূল কাউন্সিলর ও বিধায়কের এক সুর হলেও, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলার ঘটনায় সামনে এসে পড়েছে তৃণমূলের অন্দরের বিবাদ। 


তৃণমূল কাউন্সিলরের অফিসে ঢুকে তাঁর সচিবকে মারধর


 অভিযোগ উঠেছে ওয়ার্ডের তৃণমূল যুব সভাপতির বিরুদ্ধে। ঘটনার সূত্রপাত, বৃহস্পতিবার। মহেশতলা পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুমনা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অসুস্থ থাকায় তিনি ওইদিন অফিসে যাননি। অফিসে ছিলেন তাঁর সচিব অভিষেক শী। অভিষেকের অভিযোগ, চাঁদা সংক্রান্ত বিবাদ নিয়ে অভিযোগ জানাতে এসে ওই ওয়ার্ডেরই তৃণমূল যুব সভাপতি শেখ বাপ্পার নাম করে তাঁকে হুমকি দেন কয়েকজন ব্যক্তি। তা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় দু'পক্ষের। 


অভিযোগ, এর কিছুক্ষণ পর সদলবলে শেখ বাপ্পা অফিসে ঢুকে সচিবকে বেধড়ক মারধর করেন। সিসিটিভি ক্যামেরায় শেখ বাপ্পাকে অফিসে ঢুকতেও দেখা যায়। আরও অভিযোগ উঠছে, এই ঘটনা নিয়ে মহেশতলা থানায় লিখিত অভিযোগ করা হলেও FIR নেওয়া হয়নি।  আক্রান্তের দাবি, এই পরিস্থিতিতে ডায়মন্ডহারবার জেলা পুলিশের সুপার এবং মহেশতলা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের কাছে স্পিড পোস্টের মাধ্যমে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।              


ক্যামেরার সামনে মুখ না খুললেও অভিযুক্ত ওয়ার্ড যুব তৃণমূল সভাপতি জানিয়েছেন, আমি কাউন্সিলরের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তিনি ছিলেন না বলে আমি চলে আসি। আমি মারধর করেছি, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। কোনও প্রমাণ থাকলে তা দেওয়া হোক।


আরও পড়ুন: South 24 Parganas News: সোনারপুরে সোনার দোকানে ডাকাতির কিনারা, অলঙ্কার সহ গ্রেফতার ৫