রঞ্জিত হালদার, সোনারপুর: ৬ দিনের মাথায় সোনারপুরে (Sonarpur) সোনার দোকানে ডাকাতির কিনারা করল পুলিশ। অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৫।  উদ্ধার করা হয়েছে অলঙ্কার ও নগদ ৩০ হাজার টাকা। গত ১৩ অক্টোবর ডাকাতি হয় সোনারপুরের সোনার দোকানে। বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে ৫ দুষ্কৃতী ও এক স্বর্ণব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। 


সোনার দোকানে ডাকাতির কিনারা: গত ১৩ অক্টোবর, পুজোর ঠিক মুখে, সোনারপুরের একটি সোনার দোকানে  ডাকাতি হয়েছিল। এক সপ্তাহের মধ্যে ওই ডাকাতির কিনারা করল পুলিশ। এই ঘটনায় ৫ দুষ্কৃতী ও এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী-সহ মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি বলেন, “আমরা সবাইকে ইন্টারোগেশন করেছি। সবাই কনফেস করেছে। ওরা এক সপ্তাহ আগে রেকি করেছিল। ওদের একজনের পাস্ট হিস্ট্রি আছে। প্রিলিমিনারি ইনফরমেশন ৬-৭ জন ছিল। ৫ জনকে ধরেছি। বাকিদেরও ধরে নেব।’’

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের কাছ থেকে ৪টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৮ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। ব্যারাকপুরের আনন্দপুরীতে সোনার দোকানে ডাকাতির জন্য খুন, উলুবেড়িয়ায় সোনার দোকানে শ্যুটআউট, রানাঘাট ও পুরুলিয়ায় সেনকোর শোরুমে ভয়াবহ ডাকাতি। সোনার দোকান বারবার দুষ্কৃতী নিশানায় চলে আসায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। পুজোর মুখে সোনারপুরে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় সেই প্রশ্ন আরও জোরাল হয়। বারুইপুর পুলিশ জেলার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ, সোনারপুর থানার পুলিশ, আইসি কুলতলি-সহ একাধিক থানা যৌথ অভিযানে নামে।

পুলিশ সূত্রে খবর, রত্নদীপ জুয়েলার্স নামে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত লুঠের ৪০ গ্রাম সোনা, ১০০ গ্রাম রুপো ও নগদ ৩০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। লুঠের বাকি সম্পত্তির সন্ধানে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ডাকাতিতে ব্যবহৃত দুটি মোটরসাইকেলও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ধৃত দুষ্কৃতীদের জেরা করে, চোরাই সোনা কেনার অভিযোগে, কুলতলির মহিষমারি থেকে বিদ্যুৎ নস্কর নামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পলাশচন্দ্র ঢালি জানিয়েছেন, “ডাকাতি সোনারপুরে হলেও, পুরো বারুইপুর পুলিশ জেলা এর পিছনে লেগে ছিল। জয়নগর, আইসি কুলতলিও ছিলেন। সাদা কালো এম ফিফটিন মোটরসাইকেল। রিমটা লাল ছিল। লোকাল সোর্স কাজে লাগিয়ে খোঁজ করে উদ্ধার।’’


আরও পড়ুন: Mohua Moitra: 'CBI বা এথিক্স কমিটির যে কোনও প্রশ্নের জবাব দিতে রাজি' ট্যুইট মহুয়ার