নদিয়া : হাঁসখালি গণধর্ষণ কাণ্ডে তৃণমূলনেত্রীর উল্টো সুর শোনা গিয়েছিল তৃণমূল সাংসদের মহুয়া মৈত্রর গলায়।  হাঁসখালিকাণ্ড নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরদিনই হাঁসখালি গিয়ে, সম্পূর্ণ উল্টো সুর শোনা গিয়েছিল তাঁরই দলের সাংসদ মহুয়া মৈত্রর গলায়। আবারও সরব মহুয়া। এবার তাঁর মুখে হুঁশিয়ারি , ' দলকে সামনে রেখে তোলাবাজি নয় ’ । 


সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলাবাজি রুখতে কড়া বার্তা দেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। মুখ্যমন্ত্রীর সুর টেনেই তিনি লেখেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলেছেন দলকে সামনে রেখে তোলাবাজি নয় । প্রতারণার অভিযোগ উঠলে পুলিশ বা আমার অফিসে লিখিত অভিযোগ করুন’। তিনি আরও লেখেন, ‘ভয় পাবেন না, চোর-প্রতারককে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। যতই প্রভাবশালী হোক, একদিন না একদিন ধরা পড়বেই। দয়া করে এগিয়ে আসুন। চলুন এই চক্রগুলিকে বন্ধ করি’, ফেসবুকে পোস্ট করেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। 



বুধবার নবান্ন থেকে জেলার পুলিশ-প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে পূর্ব মেদিনীপুরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী।  তিনি বলেন, ' স্যান্ড মাইনিং বলুন, করাপশন....রং দেখার দরকার নেই। you take action। আমাদের তরফ থেকে কেউ বাধা দেবে না। এটা আমি বলছি, অন্য কেউ নয়। কোনও বড় নেতা করাপশন করলেও অ্যাকশন নিন। গড়বেতা কেসে each and everybody-র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। each and everybody মানে each and everybody' 
এরপর বুধবার কড়া বার্তা দেন মহুয়া মৈত্র। মহুয়ার এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, মাঝে মাঝে বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন তৃণমূল সাংসদ। 
হাঁসখালি কাণ্ডের সময়ও অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছিলেন মহুয়া । কড়া ভাষায় দিয়েছিলেন প্রতিক্রিয়া। লিখেছিলেন, ' আঠেরোর বছরের নিচে হলে কনসেন্ট থাকলেও যৌন সম্পর্ক অবৈধ। '


আরও পড়ুন :


North 24 Pargana Blast : ফুচকা তৈরির সময় বিস্ফোরণ ! উড়ল ছাদ, পুড়ে খাক সব