কলকাতা : ক্যাশ ফর কোয়েশ্চেন' বিতর্কে মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে প্রথমে নীরব থেকেছে তৃণমূল ( TMC ) । কিন্তু দিন যত গড়িয়েছে, এক এক করে মুখ খুলেছেন তৃণমূল নেতারা। মহুয়ার ( Mahua Maitra ) পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও ( Abhishek Banerjee )।  মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়রা আগেই মহুয়া মৈত্রর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু, দলগতভাবে গত ৯ তারিখ নীরবতা ভেঙে কৃষ্ণনগরের সাংসদের পাশে দাঁড়ায় তাঁর দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এবার নিজেদের আবস্থান আরও পরিষ্কার করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। এথিক্স কমিটি সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ করলেও তৃণমূল আস্তা রাখল মহুয়া মৈত্রের উপর। সাংগঠনিক স্তরে মহুয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি করল দল।  


পাখির চোখ চব্বিশের লোকসভা ভোট। তার আগে তৃণমূলের কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী করা হল মহুয়া মৈত্রকে। তৃণমূলের কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পদ থেকে সরানো হল কল্লোল খানকে। লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলের সংগঠনে এই পরিবর্তনে মহুয়ার পাশে থাকার বার্তা শুধু স্পষ্ট হল তাই নয়, দল যে তাঁর উপর যথেষ্ট আস্থা রাখছে, তাও পরিষ্কার করে দেওয়া হল।


অন্য়দিকে, তৃণমূলের বহরমপুর সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী পদ থেকে সরানো হল শাওনি সিংহ রায়কে। তাঁকে করা হল তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক। বহরমপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি করা হল অপূর্ব সরকারকে। রাজ্য সম্পাদক করা হল প্রাক্তন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রকে। জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলকে বীরভূমের জেলা সভাপতি পদেই বহাল রাখল তৃণমূল। জেলার সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হল তৃণমূলের কোর কমিটিকে।  


সম্প্রতি টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন বিতর্কে প্রথমবার মহুয়া মৈত্রর পাশে দাঁড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ,  বিএসপি সাংসদ দানিশ আলি সম্পর্কে বিজেপি সাংসদ রমেশ বিধুরি যেভাবে আক্রমণ করেছিলেন, সেই প্রসঙ্গ টেনে, মোদি সরকারের বিরুদ্ধে কার্যত দ্বিচারিতার অভিযোগ তোলেন।  বলেন, 'এথিক্স কমিটির রিপোর্টের যে অংশ আমি পেয়েছি, তাতে এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান লিখেছেন, এর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকলে তদন্ত করুন। যদি কোনও অভিযোগ না থাকে, এটা তদন্ত সাপেক্ষ হয়, তাহলে পদ খারিজের সুপারিশ কীভাবে করলেন? আমার প্রশ্ন একটাই।'  


অভিষেক এভাবে পাশে দাঁড়ানোর দিন কয়েকের মধ্যেই দলের মধ্যে মহুয়াকে নতুন দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট করে দিন দল তাঁর পাশেই আছে। 


মহুয়া মৈত্রর সাংসদ পদ খারিজের জন্য সুপারিশ করেছে লোকসভার এথিক্স কমিটি। ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে লোকসভার শীতকালীন অধিবেশন। চলবে, ২২ তারিখ পর্যন্ত। এই অধিবেশনেই কি কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা? সকলেই তাকিয়ে সেইদিকে।