কলকাতা: পুলিশ (Fake Police) পরিচয় দিয়ে গাড়িতে লিফট চেয়েছিলেন। এরপর সস্ত্রীক গাড়িতে উঠে ল্যাপটপ (Laptop) চুরির অভিযোগ উঠল খাস কলকাতায়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ (CC Camera Footage) খতিয়ে দুই মহিলা-সহ ভুয়ো পুলিশকে গ্রেফতার করল প্রগতি ময়দান থানার (Pragati Maidan Police Station) পুলিশ।


রবীন্দ্র সরোবর থানা (Rabindra Sarabar Police Station) এলাকার বাসিন্দা অভিযোগকারীর দাবি, সোমবার রাতে কলকাতা বিমানবন্দরে (Kolkata Airport) যাওয়ার সময়, সায়েন্স সিটি মোড়ে পুলিশ আধিকারিক পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি স্ত্রী ও আরেক মহিলাকে নিয়ে চিংড়িঘাটা যাওয়ার জন্য লিফট চান।


অভিযোগ, ওই তিনজন নির্দিষ্ট জায়গায় নেমে যাওয়ার পর দেখা যায় গাড়ি থেকে ল্যাপটপ সমেত ব্যাগ উধাও। বৃহস্পতিবার প্রগতি ময়দান থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। গতকাল বিধাননগর দক্ষিণ থানার নবপল্লি থেকে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, ধৃত তিনজনের মধ্যে অভিযুক্তের স্ত্রীও রয়েছেন।


উল্লেখ্য, গতকালই ঋণ নিতে গিয়ে প্রতারণা ও ব্ল্যাকমেলের ফাঁদে পড়ে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা খোয়ানোর অভিযোগ ওঠে। দুর্গানগরের বাসিন্দা এক মহিলা গত ১৮ ডিসেম্বর লেকটাউন থানায় দায়ের করেছেন অভিযোগ। তাঁর দাবি, তারপরেও ব্ল্যাকমেল ও হুমকি ফোন বন্ধ হয়নি।


অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে ঋণ নিতে গিয়ে প্রতারণার শিকার এক মহিলা। হুমকি ও ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ। অভিযোগ, ব্ল্যাকমেলের কারণে দিতে হয়েছে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা।
  
উত্তর ২৪ পরগনার দুর্গানগরের বাসিন্দা কাবেরী সাহা। গত বছরের এপ্রিলে বাবার অসুস্থতার জন্য সোশাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দেখে একটি অনলাইন ঋণ দেওয়ার অ্যাপ ডাউনলোড করেন। আবেদন করেন ঋণ নেওয়ার।  তারপরই জড়িয়ে পড়েন প্রতারণা ও ব্ল্যাকমেলের এক ভয়ঙ্কর ফাঁদে। 


অভিযোগকারিণীর দাবি, তিনি আবেদন করেন ১ লক্ষ টাকা ঋণের। কিন্তু তাঁকে মাত্র ৪ হাজার টাকা দেওয়া হয়। তারপরই কয়েকগুণ বেশি টাকা ফেরতের দাবিতে তাঁকে হুমকি দেওয়া ও ব্ল্যাকমেল করা শুরু হয় বলে অভিযোগ। 
 


অভিযোগকারিণী কাবেরী সাহা জানিয়েছেন, আমাকে ৪ হাজার টাকা দিয়ে ৭ দিনের মধ্যে ১০ হাজার টাকা দিতে বলা হয়।  বলে, আমার কন্যাক্ট লিস্টে যত নম্বর আছে, সব তাদের কাছে চলে গেছে। টাকা না দিলে পরিচিতদের কাছে মেসেজ পাঠানো হবে বলে হুমকি দেয়। অভিযোগ, টাকা শোধ দেওয়ার জন্য তিনি একইভাবে অন্য অ্যাপের মাধ্যমে ঋণ নিতে যান। সেখানেও একই ফাঁদ। 


জোর করে টাকা আদায়ের জন্য মহিলাকে হুমকি দেওয়া শুরু হয়। মহিলার দাবি, বাধ্য হয়ে একের পর এক অ্যাপ-এর মাধ্যমে ঋণ নিতে শুরু করেন তিনি। টাকা দিলেও নিস্তার মেলেনি।


এ প্রসঙ্গে সাইবার আইন বিশেষজ্ঞ তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন, শেষপর্যন্ত গত ১৮ ডিসেম্বর লেকটাউন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। বিধাননগর কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম বিভাগে সেই অভিযোগ পৌঁছেছে। 


অভিযোগকারিণীর দাবি, এর পর তিনি টাকা দেওয়া বন্ধ করলেও হুমকি থামেনি। কীভাবে এই ভয়ঙ্কর জাল থেকে মুক্তি পাবেন, তা ভেবে পাচ্ছেন না তিনি।