নয়াদিল্লি: নাগপুরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) সদর দফতরও কি এবার জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের নিশানায়? গোয়েন্দা সূত্রে এমনই খবর। সম্প্রতি জইশ জঙ্গিরা নাগপুরে আরএসএস সদর দফতর সহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান পরিদর্শন করে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অজ্ঞাতপরিচয় জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নাগপুর পুলিশের ক্রাইম ব্র্যাঞ্চ।


নাগপুরের পুলিশ কমিশনার অমিতেশ কুমার জানিয়েছেন, ‘কোতয়ালি থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। আমরা খবর পেয়েছি, কয়েকজন জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি নাগপুরের কয়েকটি জায়গায় রেকি করেছে। আমরা ইউএপিএ আইনে মামলা দায়ের করেছি। ক্রাইম ব্র্যাঞ্চ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।’


পুলিশ সূত্রে খবর, নাগপুরে আরএসএস-এর সদর দফতর ছাড়াও ড. হেডগেওয়ার স্মৃতি মন্দিরেও রেকি করেছে জঙ্গিরা। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই আরএসএস সদর দফতর ও হেডগেওয়ার ভবনের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। পুলিশ আধিকারিকরা এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে চাইছেন না।


সূত্রের খবর, গত বছরের জুলাইয়ে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে এক যুবক নাগপুরে আসেন। তিনি আরএসএস-এর সদর দফতর ঘুরে দেখে নানা তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করেন। সম্প্রতি কাশ্মীরের পাম্পোর থানা এলাকার কাছে গ্রেনেড সহ পাকড়াও করা হয়েছে ওই যুবককে। এই যুবকই জেরার মুখে জানিয়েছেন, জঙ্গিরা নাগপুরে আরএসএস-এর সদর দফতরে রেকি করেছে। তাঁকে জেরা করে জঙ্গিদের কার্যকলাপের বিষয়ে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।


সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে জইশ-ই-মহম্মদের কম্যান্ডার মীর ওয়েইসির। আরও দুই জইশ জঙ্গিকে খতম করেছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তবে এরই মধ্যে নাগপুরে জইশ জঙ্গিদের তৎপরতা নিরাপত্তারক্ষীদের চিন্তা বাড়িয়েছে। জঙ্গিরা সত্যিই নাগপুরে আরএসএস-এর সদর দফতরে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে কি না, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি। তবে রেকি করার বিষয়টি নিরাপত্তারক্ষীদের ভাবিয়ে তুলেছে। সেই কারণেই আরএসএস সদর দফতরের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।