প্রদ্যোৎ সরকার, নদিয়া: রাত পোহাতে না পোহাতেই ফাটল (Road Damaged) ধরা রাস্তার অর্ধেক ভেঙে বসে পড়ল নদিয়ার (Nadia News) কৃষ্ণগঞ্জে। স্থানীয়দের ক্ষোভ, অত্যন্ত নিম্নমানের কাজের জেরেই এই পরিণতি। অবিলম্বে মেরামতি না হলে পুরো রাস্তাটিই ভেঙে যাবে, আশঙ্কা তাঁদের। আপাতত, দুর্ঘটনা এড়াতে এলাকাটি ঘিরে দিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু তাতে বড় ধরনের যান চলাচল প্রায় বন্ধ। তীব্র ভোগান্তিতে স্থানীয়রা।
কী ঘটেছিল?
২০১৮ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বাজিতপুর সড়কে চূর্ণী নদীর উপরে একটি ব্রিজ উদ্বোধন করেছিলেন। স্থানীয়দের বক্তব্য, পূর্ত সড়ক দফতরের উদ্যোগে তৈরি ওই রাস্তা দিন পনেরো আগে একটু বসে গেলে গোটাটাই নতুন করে তৈরি করা হয়। কিন্তু শুক্রবার রাতে সামান্য বৃষ্টির পরই রাস্তাটির একেবারে মাঝখানে ফাটল দেখা দিয়েছিল, জানাচ্ছেন তাঁরা। তখনই সেই ফাটল লক্ষ্য করেন গ্রামবাসীরা। খবর যায় কৃষ্ণগঞ্জ থানায়। আইসি ঘটনাস্থলে আসেন। কোনও দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে, সেই জন্য ফাটলের চারিদিকে গার্ডরেল দিয়ে দেন। তার পর দিন, অর্থাৎ শনিবার সকালে দেখা যায়, রাস্তার অর্ধেকের বেশি অংশ ভেঙে বসে গিয়েছে। ফলে বড় ধরনের যানবাহন চলাচল আপাতত বন্ধ। স্থানীয়দের ক্ষোভ, রাস্তা তৈরির সময় অত্যন্ত নিম্নমানের কাজ হয়েছে। তাতেই এই দশা। অবিলম্বে ঠিকঠাক মেরামতি না হলে পুরো রাস্তাটিই ভেঙে যাবে। সে ক্ষেত্রে সমস্ত যানবাহন, এমনকি মানুষের চলাচল বন্ধও হয়ে যাবে। প্রসঙ্গত, এই রাস্তা দিয়েই এখন শিবনিবাস মন্দির দর্শন করতে পুণ্যার্থীরা আসেন। স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে রাস্তাটি সারানো হোক। বিষয়টি নিয়ে কৃষ্ণগঞ্জের বিডিও কামাল উদ্দিন আহমেদের কাছে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'বর্ষণের কারণে নিচের মাটি সরে গিয়ে ফাটল দেখা দিয়েছে। আমরা পিডব্লিউ রোডসের ইঞ্জিনিয়ারদের জানিয়েছি। দ্রুত রাস্তা ঠিক করা হবে। দুর্ঘটনা এড়াতে এলাকাটা আমরা ঘিরে দিয়েছি।'
আর কোথায়...
ঘটনা হল, রাস্তার বেহাল দশা নিয়ে অভিযোগ রাজ্যের নানা প্রান্তেই রয়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য, বর্ষা পড়তে রাস্তার বেহাল দশা সংক্রান্ত ভোগান্তি আরও বেড়েছে। শুধু গ্রামাঞ্চল নয়, খাস কলকাতা থেকে সল্টলেক, ছবিটা উনিশ-বিশ এক বিভিন্ন জায়গায়। সল্টলেকের বিভিন্ন রাস্তায় বড় বড় গর্ত, কোথাও পিচ উঠে যাওয়ার ছবি ধরা পড়েছে নানা জায়গায়। খানা খন্দে জমে রয়েছে জল। যার জেরে প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। সেক্টর ফাইভ, ইই ব্লক, বেলেঘাটা-সল্টলেক ক্রসিং, ১৩ নম্বর ট্যাঙ্ক, সব এলাকতেই রাস্তার ছবিটা একইরকম। কিন্তু এগুলি বদলাবে কবে? উত্তর এখনও স্পষ্ট নয়।