জয়ন্ত পাল, দমদম: সময় এগিয়েছে বেড়েছে ব্যস্ততা। কিন্তু ঐতিহ্য ভোলেনি বাঙালি। আর নতুন প্রজন্মের কাছে সেই ঐতিহ্য পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ দমদমে। মকর সংক্রান্তিতে তৈরি হচ্ছে পাঁচ রকমের পিঠে। যা পৌঁছে যাবে দমদম এলাকার বাড়িতে বাড়িতে।
সময়ের বড় অভাব। তাই বাঙালির সাধের পিঠেপুলি অনেককেই বাড়িতে নয় দোকান থেকেই কিনে খেতে হয়। এবার তাঁদের জন্যই খুশির খবর ৷ যদিও দমদমের মানুষই সেই সুখ উপভোগ করতে পারবেন। তাঁদের জন্যই আজ মকর সংক্রান্তিতে তৈরি হচ্ছে পাঁচ রকমের পিঠে। রীতিকে মাথায় রেখে দমদম তৈরি হচ্ছে পাঁচ রকমের পিঠেপুলি। প্রায় একশো জন মিলে তৈরি করছেন সেই পিঠে। যা পৌঁছে যাবে দমদমের মানুষের বাড়ি বাড়ি। দমদম দাগা কলোনিতে তৈরি হচ্ছে সেই পিঠে পুলি।
পিঠে তৈরির উপকরণে থাকছে প্রায় ২৬ হাজার নারকেল, ৪০০ কেজি চালের গুঁড়ো, ৪০০ কেজি ময়দা, ২ হাজার লিটার দুধ। এই পিঠে আগামীকাল পয়লা মাঘ পৌঁছে যাবে দমদমের প্রায় ৩ হাজার বাড়িতে। আজ মকর সংক্রান্তিতে আচার মেনে যা তৈরি করছে প্রায় ৫০জন মহিলা ও ৫০জন পুরুষ। কেউ নারকেল ফাটাচ্ছে তো কেউ পিঠে বানাতে ব্যস্ত, আবার কেউ নারকেলের পুর বানাচ্ছেন। কেউ এসেছেন বনগাঁ কেউ বা রানাঘাট আবার কেউ অশোকনগর আবার কেউ নদিয়া আবার কেউ ডায়মন্ড হাবরার থেকে এসেছে। এই পিঠেই পাঁচটি কন্টেনারে করে সমস্ত মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে। সেই পাঁচ রকম কন্টেনারে থাকছে পাটিসাপ্টা, চুষি পিঠে, দুধ পুলি, বকুল পিঠে, রস ভরা। উদ্যোক্তারার জানাচ্ছেন, বাঙালিদের পুরনো রীতিকে বয়ে নিয়ে যেতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৫৮ মিনিট থেকে বুধবার সকাল ৬টা ৫৮ মিনিট পর্যন্ত সাগরে স্নানের মাহেন্দ্রক্ষণ। পুণ্যলাভের আশায় সেই নির্ঘণ্ট মেনে স্নান করলেন লাখ লাখ তীর্থযাত্রী, তাঁদের মধ্যে যেমন এরাজ্যের বাসিন্দারা আছেন, তেমনই ছিলেন ভিন রাজ্যের বহু বাসিন্দা ও বিদেশি পর্যটকও। স্নান সেরে কপিল মুনির আশ্রমে পুজো দেন তাঁরা। এদিন সাগরে পুণ্যস্নান সারেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী সুজিত বসু ও রথীন ঘোষ। রাজ্য সরকার সূত্রে খবর, মকর সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে এখনও পর্যন্ত ৮৫ লক্ষ পুণ্যার্থী এসেছেন গঙ্গাসাগরে।