করুণাময় সিংহ, মালদা: স্থানীয় স্কুল চত্বরে থাকা সরকারি গাছ কেটে বিক্রি করে দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠল গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলের বিরুদ্ধে! গাজলের চাকনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের এই ঘটনায় অভিযোগের তির বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলের বিরুদ্ধে। ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক ও পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষও। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলে অভিযুক্ত শেখর সরকার। 


স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনাকে ঘিরে ওই অঞ্চলে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। এমন কাজ করাই বিজেপির সংস্কৃতি বলে কটাক্ষ করেছে স্থানীয় ঘাসফুল শিবির। অন্যদিকে বিজেপির বক্তব্য, দল কখনওই কাউকে অন্যায় করার অনুমতি দেয় না। কেউ যদি অন্যায় করে, তাহলে প্রশাসন তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। সাফ দাবি পদ্মশিবিরের। 


মালদার গাজলের চাকনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বৈরডাঙি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে থাকা বহু পুরনো এক অশ্বত্থ গাছ ঘিরেই এই ঘটনার সূত্রপাত। অভিযোগ এই গাছটি কেটেই নাকি বিক্রি করে দিয়েছেন অভিযুক্ত শেখর সরকার। বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলে শেখর। ঘটনায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা অভিযোগ দায়ের করেছেন। একই সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বিডিও অফিসেও। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শেখর সরকার। তিনি এমন কোনও ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন বলে দাবি অভিযুক্তের। 


'সরকারি জিনিস হোক বা সাধারণ মানুষের জিনিস। যে কোনও কিছুই চুরি করে বিক্রি করে দেওয়াটাই বিজেপির অভ্যাস বা কালচার' পদ্মশিবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে এই মন্তব্যই করলেন যুব তৃণমূল সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস। যদিও বিজেপি যুব মোর্চার মণ্ডল সভাপতি নীহাররঞ্জন মণ্ডলের দাবি, কেউ অন্যায় করলে তার পাশে দাঁড়াবে না দল। প্রশাসন আইন অনুযায়ী যা ব্যবস্থা নেবে তাই হবে। অভিযুক্ত শেখর সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মালদার জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র।