সমীরণ পাল, বনগাঁ : এবার দলের কেন্দ্রীয় স্তরের নেতা তথা কেন্দ্রীয়মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াতের উপস্থিতিতে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক সভায় গরহাজির রইলেন দলের একাধিক নেতা, বিধায়ক ও সাংসদ। এর আগে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বৈঠক সহ একাধিক বৈঠকে অনুপস্থিতির ছবি দেখা গেছে।
শনিবার বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার নেতাদের নিয়ে বনগাঁ জেলা অফিসে বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত । কিন্তু, এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে দেখা মিলল না বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া, গাইঘাটার সুব্রত ঠাকুরের ৷ এর পাশাপাশি এদিনের বৈঠকে দেখা যায়নি বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডলকেও ।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে কেন তাঁরা এলেন না ? বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া জানিয়েছেন, তিনি ঘুরতে গিয়েছেন । অনেক আগে থেকেই এই পরিকল্পনা ছিল।
তবে বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বা গাইঘাটার সুব্রত ঠাকুরের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল ফোনে জানিয়েছেন, তিনি ব্যক্তিগত কাজে দিল্লিতে আছেন । সভাপতির সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে।
তিন বিধায়কের অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত বলেন, অনেকের ব্যক্তিগত কাজ বা পূর্ব পরিকল্পিত কর্মসূচি থাকতে পারে ৷ যাঁরা এসেছেন তাঁদের নিয়ে মিটিং হয়েছে।
পাশাপাশি সিএএ রাজ্যে কবে লাগু হবে সেই প্রশ্নে তিনি বলেন, " সিএএ আইন যখন হয়েছে তা প্রয়োগ হবে। প্রয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্যের বড় ভূমিকা থাকে।"
এদিকে এপ্রসঙ্গে তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কো-অর্ডিনেটর গোপাল শেঠ বলেন, " গতানুগতিক কথাই বলতে হয়। ভারতীয় জনতা পার্টির বনগাঁয় যা দুরবস্থা তাতে পার্টিতে কেউ থাকতে চাইছেন না। মন্ত্রীকে 'খাজা গজা' বলে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ আগে বাংলায় ডেলি প্যাসেঞ্জারি করেছেন। তাঁরা এখন খাজা গজাদের পাঠাচ্ছেন, ভাই দেখে আয় বাংলায় কী অবস্থা!