করুণাময় সিংহ, মালদা: বামন গোলা পঞ্চায়েত সমিতির দখল নিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই এলাকায় আগে বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতি ছিল। কিন্তু এবার সেই পঞ্চায়েত সমিতি হাতছাড়া হল বিজেপির। তবে তৃণমূলের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি। তাদের দাবি, ভয় দেখিয়ে দলবদল করানো হয়েছে। তবে পালটা নিজেদের বক্তব্য রেখেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তাদের তরফে থেকে বলা হয়েছে যে বাংলার উন্নয়নে শামিল হতেই বিজেপি সদস্যরা তৃণমূলে যোগদান করেছেন। 


রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে খারাপ ফলের পর থেকেই বিজেপিতে ভাঙন ধরেছে। একের পর এক বিজেপি কর্মী, নেতারা তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। বাংলায় বিজেপির অবস্থা যেন আরও শোচনীয় হচ্ছে। এবার সেই ছবি মালদার বামনগোলায়। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বামনগোলা পঞ্চায়েত সমিতি দখল করে বিজেপি। ১৮ টি আসনের মধ্যে 10 টি আসন দখল করে বিজেপি আটটি আসন পায় তৃণমূল কংগ্রেস। পঞ্চায়েত সমিতির দখল নেয় বিজেপি। বিধানসভা নির্বাচন পর্ব মিটতেই বিজেপির চারজন সদস্য যোগ দেন তৃণমূলে। ১২ জন সদস্য বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা ডাকেন। অপসারিত হন সভাপতি। গতকাল পঞ্চায়েত সমিতির দখল নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদান কারী সদস্যা অনন্যা রায় বলেন, 'বিজেপিতে থেকে কাজ করা যাচ্ছিল না। মানুষকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হয়ে ছিলাম তা রাখতে পারছিলাম না। সেই কারণেই  তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছি।' যদিও জেলা বিজেপি সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডল এর অভিযোগ অর্থ দিয়ে এবং ভয় দেখিয়ে এই দলবদল করানো হয়েছে। বিজেপির এই অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের আদিবাসী সেলের রাজ্য কমিটির সদস্য অমল কিস্কু বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে শামিল হতে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন সদস্যরা। বামন গোলা দিয়ে বিজেপির শেষের শুরু। এরপর হবিবপুর পুরাতন মালদার বিভিন্ন পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখল করবে তৃণমূল কংগ্রেস।'