মালদা: ফের বেলাগাম বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে দিলীপের গলায় কড়া হুঁশিয়ারির সুর। মালদার (Malda) কালিয়াচকে একটি সভায় বক্তব্য রাখার সময় তিনি নিশানা করে দিদির দূতদের। ওই বক্তব্যের পরেই কড়়া ভাষায় সমালোচনা করেছে তৃণমূল। 


কী বলেছেন দিলীপ:
আর কদিন পরেই পঞ্চায়েত ভোট (Panchayet Election)। তার আগে বেলাগাম দিলীপ। কালিয়াচকের সভায় তিনি বলেন, 'আপনাদের গ্রামে দিদির দূত এলে বাঁশ গাছে বেঁধে রাখুন। ২ দিন দিদির দূতকে বেঁধে রাখুন, জল পর্যন্ত খেতে দেবেন না।' কালিয়াচকে প্রকাশ্য সভা থেকে হুঁশিয়ারি বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সহ সভাপতির।


তাঁর আরও হুঁশিয়ারি, 'কেউ প্রশ্ন করলে গুন্ডা দিয়ে মারধর করছে এতদিন মানুষকে চোখ দেখাচ্ছিলেন, এখন মানুষই উল্টে চোখ দেখাচ্ছে।'


তৃণমূলের তোপ:
তৃণমূল (TMC) নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য্য বলেন, 'দিলীপ ঘোষ এই কথা বলার জন্যই বিখ্যাত। বাংলার মানুষ এই কথা বলার জন্যই ওঁকে চেনেন। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে (Assembly Election) মানুষের দেওয়া এত বড় ধাক্কার পরেও শুধরোচ্ছেন না। আমরা বলতেই পারি, বিজেপি বাড়িতে ভোট চাইতে এলে জিজ্ঞাসা করতে যে প্রতি মাসে কেন গ্যাসের (LPG Price) টাকা বেশি নিচ্ছে মোদি সরকার। গ্যাসের দাম কেন বাড়ছে?'

এর আগেও একাধিকবার তাঁর মন্তব্যের জন্য সংবাদ শিরোনামে এসেছেন দিলীপ ঘোষ। কখনও বিরোধী, কখনও পুলিশকে নিশানায় রেখে নানা মন্তব্য করেছেন, যা ঘিরে বিতর্ক হয়েছে। 


সম্প্রতি রাজ্যপালের হাতেখড়ি অনুষ্ঠান নিয়েও মুখ খুলেছিলেন তিনি। দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, 'এই ধরনের নাটক রাজ্যপালের শোভা পায় না। যে কিছু জানে না, তাঁরই হাতেখড়ি হয়। যিনি সব জেনে গেছেন, তাঁর হাতেখড়ি হয় না। রাজ্যপাল অন্যের বুদ্ধিতে পরিচালিত হচ্ছেন। রাজ্যপালের পদের গরিমা আছে, এইসব ছোটখাটো বিষয়ে না জড়ানো উচিত। আশা করব ভবিষ্যতে রাজ্যপালের পদের মর্যাদা রক্ষা করবেন।' 


সরস্বতী পুজোর দিনে বাংলা শেখা শুরু করেছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রাজভবনে আনুষ্ঠানিক ভাবে হাতেখড়ির অনুষ্ঠান হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপালকে বর্ণপরিচয় উপহার দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই অনুষ্ঠান ঘিরেই তোপ দেগেছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেই অনুষ্ঠানে যাননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ দিন বিকেলে রাজভবনে বাংলায় হাতেখড়ি হয় রাজ্যপালের। লালপাড় হলুদ শাড়ি পড়া খুদে সরস্বতীর কাঁধে গুরুদায়িত্ব পড়ে। হাতে ধরে শ্লেটে রাজ্যপালকে অ-আ লেখা শেখায় খুদে মেয়েটি। তার পর রীতি মেনে স্বরবর্ণ-ব্যাঞ্জনবর্ণ উচ্চারণও করেন রাজ্যপালও। গুরুদক্ষিণা বাবদ খুদে মেয়েটির হাতে তুলে দেন উপহারও। 


আরও পড়ুন: নৌশাদ সিদ্দিকির গ্রেফতারির প্রতিবাদে বৈঠকের ডাক ISF-এর, 'ব্রাত্য়' তৃণমূল-বিজেপি