করুণাময় সিংহ, মালদা: ফের জটিল পরিস্থিতি সুষ্ঠুভাবে সামাল দিয়ে প্রাণ বাঁচানো হল রাজ্যের সরকারি মেডিক্যাল কলেজে। মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ঘটনা। পাঁচ বছরের এক শিশুর শ্বাসনালিতে কানের দুল আটকে গিয়েছিল। সেই পরিস্থিতিতে বিনা অস্ত্রোপচারে ওই শিশুর শ্বাসনালি থেকে আটকে থাকা কানের দুল বের করে আনলেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। এমন কাজ সম্ভব হওয়ার খুশির হাওয়া মালদা মেডিক্যালের চিকিৎসকদের মধ্যে। 


রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যে উন্নত হয়েছে এই ঘটনা তারই প্রমাণ বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের একাংশ। মালদা মেডিক্যালের ডাক্তারদের চেষ্টায় বিপদ কেটে যাওয়ায় খুশি ওই পাঁচ বছরের শিশুর পরিবার। তাঁরা সাধুবাদ জানিয়েছেন মালদা মেডিক্যালে কর্তব্যরত চিকিৎসক এবং মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে। মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, অসুস্থ শিশুর নাম সুমাইরা খাতুন। তার বয়স পাঁচ বছর। তার বাড়ি কালিয়াচক থানার মোজামপুর এলাকায়। বাবা রুবেল শেখ সামান্য ব্যবসায়ী। মা নাসরিন বিবি গৃহবধূ।


দক্ষিণবঙ্গেও সফল অস্ত্রোপচার:
উত্তরবঙ্গে যখন চটজলদি পদক্ষেপে বিনা অস্ত্রোপচারে প্রাণ বেঁচেছে শিশুর। তখনই দক্ষিণবঙ্গে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সাফল্যের ছোঁয়া। জটিল অস্ত্রোপচার সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে সরকারি হাসপাতালে। এবার ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের মাতৃমায় এক গর্ভবতী মহিলার পেটে অস্ত্রোপচার করে প্রায় দুই কেজি ওজনের টিউমার বের করলেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালের শল্য চিকিৎসক শ্রুতর্ষি মন্ডলের তৎপরতায় চিতিৎসক আসিফ কামাল ও চিকিৎসক বিশ্বনাথ সর্দারের সহযোগিতায় এই জটিল অস্ত্রোপচার সম্ভব হয়।


চিকিৎসকরা জানিয়েছেন অপারেশনটি ভীষণ জটিল ছিল। ডায়মন্ড হারবারের বাসিন্দা অনিন্দিতা পাত্র কিছুদিন আগেই গর্ভবতী হন। তাঁর গর্ভে যমজ সন্তান রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তাঁরই সঙ্গে অস্বাভাবিকভাবে তাঁর পেট দিন দিন ফুলে যাচ্ছিল। সন্দেহ হওয়ায় স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে চিকিৎসকরা দেখেন ওই মহিলার পেটে বিশাল আকারের একটি টিউমার রয়েছে। অবশেষে তাঁকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে এসে গত সোমবার অস্ত্রোপচার করা হয়। সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে, ১ কেজি ৭৫৫ গ্রামের ওই টিউমার তাঁর পেট থেকে বের করেন চিকিৎসকরা। বৃহস্পতিবার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন সুস্থ রয়েছেন ওই রোগী। সফল অস্ত্রোপচারের পরে ওই মহিলার গর্ভস্থ সন্তানরাও ঠিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের এই উদ্যোগে খুশি রোগী ও তাঁদের পরিবার। ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের এই সাফল্য আগামী দিনে আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন সুপার। 


আরও পড়ুন: Appetite: খাবার দেখলেই অনীহা? একেবারেই নেই খিদে? প্রতিদিন সহজ কিছু নিয়ম মেনে চললে সমাধান হবে সমস্যার