করুণাময় সিংহ, মালদা : DA ধর্মঘটে যোগ না দিয়েও শিক্ষা দফতরের থেকে শোকজ মেল পেলেন মালদার ২ শিক্ষক। শুধু তাই নয়, শোকজের মেল স্কুলে না পাঠিয়ে, তৃণমূলের অঞ্চল পার্টি অফিসে পাঠানোয় তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি। কে বা কারা এই নোটিস পাঠাল, তা জানতে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূলের ব্লক নেতৃত্ব। ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার জেলাশাসক।


DA আন্দোলন বা ধর্মঘটে যোগদানকারী সরকারি কর্মীদের বেতনে কোপ থেকে বদলির সার্কুলার ঘিরে সংঘাতের রেশ এখনও কাটেনি। তার মধ্য়েই এবার দানা বাঁধল নতুন বিতর্ক। 


মালদায় DA-ধর্মঘটে যোগ না দেওয়া, তৃণমূলের দুই শিক্ষক-নেতাকে শোকজ মেল পাঠাল শিক্ষা দফতর! শুধু তাই নয়... অভিযোগ, শোকজের মেল স্কুলে না পাঠিয়ে পাঠানো হয়েছে তৃণমূলের অঞ্চল পার্টি অফিসে!


শোকজ নোটিস পাওয়া এক শিক্ষক সুনন্দ মজুমদার বলছেন, আমি শোকজ লেটার পেয়েছি। আমি ডিএ ধর্মঘটের দিন স্কুলে ছিলাম। তারপরেও শোকজ করা হয়েছে। এবং সেটা পাঠানো হয়েছে পার্টির মেলে। লিখিতভাবে ডি আইয়ের কাছে জানতে চাইব কেন এমন হল?


মালদা মানিকচক এনায়েতপুর হাইস্কুলের তৃণমূল নেতা ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেনের কথায়, ১০ তারিখ ডিএ ধর্মঘটের দিন সকুলে উপস্থিত ছিলাম। তারপরেও শোকজ লেটার কীভাবে এল? সবচেয়ে বড় কথা এই চিঠি পাঠানো হয়েছে তৃণমূলের অঞ্চলের মেল আইডিতে। ডিআই আমার কাছে ধর্মঘটের দিনের রিপোর্ট চেয়েছিলেন। ৩ জন শিক্ষক অনুপস্থিত ছিলেন, সেই রিপোর্ট পাঠিয়েছি। দলের ষড়যন্ত্র রয়েছে


DA-ধর্মঘটে যোগ না দেওয়া মালদার দুই শিক্ষককে শোকজ! শোকজের মেল পাঠানো হল তৃণমূলের অঞ্চল পার্টি অফিসে!  দক্ষিণ মালদাক বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ির কথায়, তৃণমূল পার্টি ও সরকার এক হয়ে গেছে। তাই সরকারি চিঠি পৌঁছে যাচ্ছে পার্টি অফিসে।


তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর কথায়, ভুল করে কোনওভাবে তৃণমূলের অফিসে শোকজ লেটার চলে গেছে। কীভাবে এই ঘটনা, খতিয়ে দেখা হবে। কে বা কারা কেন এভাবে নোটিস পাঠাল, তা জানতে মানিকচক থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি।


মালদা এনায়েতপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি শেখ সোহেল আলমের কথায়, ধর্মঘটের দিন ওই ২ শিক্ষক সকুলেই ছিলেন। অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের মেল আইডি ব্যবহার করে কেউ ওই ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভুয়ো অভিযোগ করেছেন। পুরো বিষয়টি মানিকচক থানায় লিখিতভাবে জানিয়েছি। যে করেছে তাকে খুঁজে বের করা হোক। ধর্মঘটের দিন ওই ২ শিক্ষক স্কুলেই ছিলেন।


বিতর্কের মুখে নড়েচড়ে বসেছে মালদা জেলা প্রশাসন। গোটা বিষয়টি নিয়ে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক। পাশাপাশি ইমেল আইডি হ্যাক করেও এই ধরনের ঘটনা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।