করুণাময় সিংহ, মালদা: জমি নিয়ে বিবাদ ঘিরে রক্তারক্তি কাণ্ড। বচসা থেকে হাতাহাতি, মারামারি। তাতে দু’পক্ষের ১৩ জন আহত হয়েছেন। জোর করে জমি দখল করে রাখার অভিযোগ তুলেছে এক পক্ষ। অন্য পক্ষের দাবি, জমির আসল কাগজপত্র তাদের কাছেই। তাই জমির মালিকানাও তাদের। এ নিয়ে খামোকা ঝামেলা পাকানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে বিরাট পুলিশবাহিনী। 


জমিকে ঘিরে বিবাদ, রক্তারক্তি কাণ্ড মালদায়


মালদা (Malda News) জেলার হরিশচন্দ্রপুর (Harishchandrapur News) থানা এলাকার ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত লক্ষ্মণপুর মিসকিমপুরের ঘটনা। রক্তারক্তাকাণ্ড ঘটে যাওয়ায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েচে। আহতদের মধ্যে চার জনের অবস্থা গুরুতর বলে বলে জানা গিয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁদের। উভয় পক্ষই পরস্পরকে দায়ী করেছে। 


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই বিঘা জমিকে ঘিরে বিবাদ। ওই জমির মালিকানা নিয়ে তিন মাস ধরে ঝামেলা চলছিল রাহানুল এবং আফতাবউদ্দিনের মধ্যে। মঙ্গলবার সকালে সেই বিবাদই রণক্ষেত্রের আকার ধারণ করে। মুহুর্তের মধ্যে তা বদলে যায় রক্তারক্তি কাণ্ডে। পরস্পরের উপর হামলা চালান উভয় পক্ষের লোকজনই। তাতেই উত্তেজনা ছড়ায়। 


আরও পড়ুন: Manik Bhattacharya : দেখানো হল জুতো, ব্যাঙ্কশাল কোর্টে মানিক ভট্টাচার্যকে চোর চোর স্লোগান


এ দিন ঝামেলা শুরু হলে পুলিশের কাছে খবর পৌঁছয়। সেই মতো ঘটনাস্থলে হাজির হয় হরিশচন্দ্রপুর থানার পুলিশ। দুই পক্ষকে জমির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলে তারা। কিন্তু পুলিশ চলে যেতেই উত্তেজনা ছড়ায়। জানা যায়, এক পক্ষ জমিতে বেড়া দেওয়ার চেষ্টা করছিল।  তা নিয়ে প্রথমে বচসা, তার পর হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন সকলে।


এই ঘটনায় এক পক্ষের সাত জন আহত হন। তাঁদের মধ্যে রাহানুল হক, শেখ উজ্জ্বল, মুফিলুউদ্দিন, শেখ লতিফুর, হাসবি বিবি এবং শেখ নইমউদ্দিনকে শনাক্ত করা গিয়েছে।  অন্য পক্ষের ছ’জন আহত হন। তাঁরা হলেন, শেখ আফতাবউদ্দিন, শেখ সাহাবউদ্দিন, তারিক আনোয়ার, তাকিম আলি, করিমউদ্দিন এবং এনামুল হক। এর মধ্যে দুই পক্ষের চার জনের অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর। আহতরা হরিশচন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। দুই পক্ষই পরস্পরকে দোষারোপ করছে। 


পরস্পরকে দোষারোপ করছে দুই পক্ষ


এক পক্ষের শিউলি খাতুন বলেন, ‘‘জমিটা আমাদের। ওরা গায়ের জোরে দখল করে রেখেছে। ওরা কাগজপত্র দেখাতে পারবে না। বাধা দিতে গেলে মারধর করেছে।’’ অন্য দিকে, অপর পক্ষের রাজীব হক বলেন, ‘‘জায়গাটা আমাদের দাদুদের। ওরা জোর করে দখল করে রেখেছে। পুলিশ এসে কাগজপত্র দেখাতে বলে। তার পরেই শুরু হয় ঝামেলা। আমরা আমাদের জমি নেব।’’ পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।