করুণাময় সিংহ, গাজোল: মালদার (Malda) গাজোলে ১০০ দিনের প্রকল্পে দেড় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত প্রধান ও কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে। গাজোলের করকচ গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, জৈব সার উৎপাদনের কাজ না করেই, ১০০ দিনের প্রকল্পের দেড় কোটি আত্মসাৎ করেছেন তৃণমূল প্রধান ফুলমণি হাঁসদা ও পঞ্চায়েত অফিসের কর্মীদের একাংশ।


দেড় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ: ১০০ দিনের প্রকল্পে দেড় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ। মালদার গাজোলে, তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানালেন গ্রামবাসীরা। গাজোলের করকচ গ্রাম পঞ্চায়েত। গ্রামবাসীদের দাবি, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ১০০ দিনের কাজে জৈব সার উৎপাদনের জন্য ১১০ টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। প্রকল্পের জন্য় বরাদ্দ হয় প্রায় দেড় কোটি টাকা। বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, প্রকল্পের কাজ বিন্দুমাত্র হয়নি। পুরো টাকাটাই আত্মসাৎ করেছে তৃণমূল পরিচালিত করকচ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ফুলমণি হাঁসদা ও পঞ্চায়েত কর্মীদের একাংশ।                             


কী অভিযোগ গ্রামবাসীদের? 


ওই গ্রামের এক বাসিন্দা পলাশ সরকার বলেন, “পঞ্চায়েত থেকে লোক এসেছিল জৈব সার উৎপাদনের জন্য আমার জমি ঠিক করা হয়। আমি নিজেই গর্ত করেছি। কিন্তু তারপর কোন কাজ হয়নি। সব টাকা পঞ্চায়েত প্রধান তুলে খেয়ে নিয়েছে এক টাকারও কাজ হয়নি। আমরা ডিএম এর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি। যারা টাকা আত্মসাৎ করেছে তাদের শাস্তি চাই।’’                                  

ঘটনায় তৃণমূলকে আক্রমণ করেছে বিজেপি। বিজেপির দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, “মালদা জেলায় ১০০ দিনের কাজে ২৩০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। পঞ্চায়েত প্রধান ও কর্মীদের একাংশ মিলে এই দুর্নীতি করেছে। এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলনে নামবো। সবগুলোকে জেলে ভরে তারপরই ছাড়ব।’’  যদিও অভিযোগের প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়ার জন্য় যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, পাওয়া যায়নি অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধান ফুলমণি হাঁসদাকে।  জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ঘটনায় গাজলের বিডিওকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার জেলাশাসক।                                                          

আরও পড়ুন: Partha Chatterjee: বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থাকে ১০০ বছর পিছিয়ে দিয়ে ধ্বংস করেছেন, পার্থ প্রসঙ্গে ইডি