করুণাময় সিংহ, মালদা : সদ্যোজাতর মৃত্যু ঘিরে মালদার (Malda) চাঁচলে নার্সিংহোমে ভাঙচুর চালালেন আত্মীয়-পরিজনেরা। নার্সিংহোমের কর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। চিকিৎসার গাফিলতিতেই (Negligance in Treatment) শিশু মৃত্যু বলে অভিযোগ করেছে পরিবার। শ্বাসনালিতে দুধ ঢুকে যাওয়ায় বিপত্তি, গাফিলতির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ।
৩ দিনের শিশুর মৃত্যুতে ধুন্ধুমার। মালদার চাঁচলে নার্সিংহোমে চলল ভাঙচুর। নার্সিংহোম কর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ালেন মৃত শিশুর আত্মীয়-পরিজনেরা। বুধবার চাঁচলের স্টার নার্সিংহোমে ভর্তি হন চাঁচলেরই বাসিন্দা এক মহিলা। বুধবার অস্ত্রোপচার করে কন্যাসন্তান হয়। বৃহস্পতিবার সদ্যোজাতর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। শুক্রবার চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় শিশুকে। শনিবার সকালে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
এরপরই চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে নার্সিংহোমে চড়াও হয় মৃত শিশুর আত্মীয়রা। চেয়ার-টেবিল উল্টে, চিকিৎসার সরঞ্জাম ভাঙচুর করে উত্তেজিত জনতা। নার্সিংহোমের কর্মীরা বাধা দিলে মৃত শিশুর আত্মীয়দের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। চাঁচল থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনায় মৃত শিশুর পরিবার বা নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ, কোনও পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি।
কয়েকদিন আগেই চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে নদিয়ার (Nadia Medical Negligence) রানাঘাটে নার্সিংহোম ভাঙচুর চালান রোগীর আত্মীয়-পরিজনেরা। আক্রান্ত হন নার্সিংহোমের এক চিকিৎসকও। পরিবারের দাবি, রানাঘাট শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সাধুর বাগান এলাকার বাসিন্দা, ২২ বছরের অন্তঃসত্ত্বা পূজা রায়কে নার্সিংহোমে নিয়ে আসা হয়েছিল। তিনি নার্সিংহোমেরই চিকিৎসক অনুপম বিশ্বাসের চিকিৎসাধীন ছিলেন। প্রসূতির পরিবারের দাবি, নার্সিংহোমে নিয়ে আসার পর চিকিৎসক তাঁর আলট্রাসনোগ্রাফি করার পরামর্শ দেন। পরীক্ষা করানোর পর প্রসূতির বাড়ির লোকজন জানতে পারেন, ২৬ সপ্তাহ আগে গর্ভস্থ ভ্রূণের মৃত্যু হয়েছিল। যদিও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ ও সেখানকার চিকিৎসক, প্রসূতির আত্মীয়-পরিজনদের জানিয়েছিলেন, গর্ভস্থ ভ্রূণের মৃত্যু হয়েছে আগেই। যারপর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন