করুণাময় সিংহ, মালদা: ফি বছর বর্ষায় একই অবস্থা। একটু বৃষ্টি হলেই হল। রোখা যায় না ভাঙন। তার জেরে এ বার কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধেই সরব হলেন বিজেপি-র (BJP) নেতা। বরাদ্দের টাকা কাটমানিতে (Cut Money) চলে গিয়েছে। তাতেই নিম্নমানের কাজ হচ্ছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের (TMC)। 


গঙ্গার ভাঙন নিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধেই সরব বিজেপি নেতা


মালদার (Malda News) বৈষ্ণবনগরের অন্তর্গত বীরনগর এলাকার ঘটনা। সেখানে বর্ষা এলেই ফি বছর ভাঙন রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগ। এর দায় ফরাক্কা ব্যারেজের (Farakka Barrage) উপরই চাপিয়েছেন বৈষ্ণবনগরের প্রাক্তন বিধায়ক স্বাধীন সরকার। যতই কেন্দ্রীয় সংস্থা হোক না কেন, দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়ার প্রশ্ন নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন,  "বিজেপি কারও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয় না। তাই কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধেও মুখ খুলেছেন দিলীপ ঘোষও।"


মালদায় গঙ্গার ভাঙনে এখন কার্যতই অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছেন মালদার বাসিন্দারা। তাতে সর্বস্ব খুইয়েছেন বহু পরিবার। ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গিয়েছেন তাঁরা। ২০১৬ সাল থেকে একটানা ভাঙনে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় বৈষ্ণবনগরের বীরনগর এলাকা। 


আরও পড়ুন: Partha Chatterjee Updates: মন্ত্রিত্ব-দলীয় পদ গিয়েছে আগেই, বিধানসভার কমিটি থেকেও বাদ দেওয়া হল পার্থকে


তাতে গঙ্গার ডাউনস্ট্রিমে ১২ কিলোমিটার অংশে ভাঙন রোধের কাজ হাতে নেয় সরকার। ফরাক্কা ব্যারেজের মাধ্যমে ভাঙন রোধের কাজ করা হয়। সেই কাজ নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন স্বাধীন। তিনি জানিয়েছেন, ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ভাঙনে হাজার খানেক পরিবার উদ্বাস্তু হয়ে গিয়েছে।


স্বাধীন বলেন, "জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন রোধের কাজ চলছে। বালির বস্তা ফেলা হচ্ছে গঙ্গার পাড়ে, যাতে ভাঙন দেখা না দেয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমরা যা দেখেছি, তাতে যে গুণমান হওয়া উচিত, তা পরিলক্ষিত হয়নি। আমরা ঠিকাদার এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজারকে বলেছি, কাজের মান যেন ঠিক হয়।" ভাঙন রোধ নিয়ে সরব হয়েছেন এলাকার বাসিন্দারাও। বীরনগরের বাসিন্দা মহম্মদ মুস্তাফা বলেন, "এই ভাবে কাজ হলে ভাঙন আটকানো সম্ভব নয়।"


কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে প্রাক্তন বিজেপি বিধায়কের এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেছে তৃণমূলও বড় অঙ্কের কাটমানি খেয়ে নিম্নমানের কাজ করানো হচ্ছে। মালদা জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, "প্রচুর পরিমাণে কাটমানি নেওয়ায় নিম্নমানের কাজ হচ্ছে।"


কাটমানির অভিযোগ তৃণমূলের


যদিও দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, "ফরাক্কা ব্যারেজের উচিত সঠিক পদ্ধতিতে কাজ করা। তা না হলে এর দায় বিজেপির উপরই বর্তাবে।"  ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।