কলকাতাঃ নারকেলডাঙায় (Narkeldanga Violence) বাড়িতে ঢুকে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি মারার অভিযোগে ইতিমধ্যেই উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। ওই অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ এই মুহূর্তে   কলকাতার ইডেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এহেন মুহূর্তে শেষ মুহূর্তের পাওয়া খবরে 'পেশেন্টর সব কিছু নরমাল, গর্ভস্থ বাচ্চা পুরোপুরি সুস্থ আছে' বলে জানা গিয়েছে।


 মূলত গতকাল সকালে হামলার পর ওই অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর  শ্বশুর একরাশ আতঙ্ক নিয়ে জানিয়েছিলেন, 'তীব্র ব্যাথা রয়েছে বৌমার। নজরে রেখেছেন চিকিৎসকরা। ব্যথা যদি না কমে সিজার করতে হবে। বৌমাকে যেভাবে মারধর করেছে, এখন বোঝা যাচ্ছে না বাচ্চাটা ঠিক আছে, কি নেই ?'তবে এদিন হাসপাতালে তরফে চিকিৎসক জানিয়েছেন, '৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর অতিরিক্ত কোনও আঘাত পাওয়া যায়নি। ভিতরে কোনও ব্লিডিং নেই। সব রিপোর্ট পুরোপুরি নর্মাল। পেশেন্টর সব কিছু নরমাল, গর্ভস্থ বাচ্চা পুরোপুরি সুস্থ আছে।'  


প্রসঙ্গত নারকেলডাঙার বাসিন্দা শিবশঙ্কর দাস ও তাঁর ছেলে দীপক দাসের অভিযোগ, প্রোমোটিং সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য তাঁদের দেখা করতে ডেকেছিলেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর স্বপন সমাদ্দার এবং বিধায়ক পরেশ পাল। সে জন্য তাঁদের 'ছেলেরা এসে তলব' করে যায় বলে, দাবি শিবশঙ্করের। কিন্তু বাবা-ছেলে কেউই যেতে রাজি হননি। অভিযোগ, এরপরই শুরু হয় তাণ্ডব। অভিযোগ, 'প্রায় ২০০ মত ছেলে এসে আচমকাই তাঁদের বাড়িতে চড়াও হয় এবং দীপককে বেধড়ক মারধর করা হয়।'যদিও কোনও মতে প্রাণ বাঁচিয়ে তিনি নারকেলডাঙা থানায় যান। এদিকে নারকেলডাঙা থানায় আরও অসুবিধা অপেক্ষা করছিল বলে, দাবি শিবশঙ্কর ও দীপকের। তাঁদের দাবি, থানায় অভিযোগ তো নেওয়া হয়নি। উল্টে  তাঁদের, 'আক্রান্ত দুজনকেই গ্রেফতার করা হয়।'


আরও পড়ুন, সিবিআইয়ের স্ক্যানারে এবার অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ বোলপুরের চালকল ব্যবসায়ী !


এদিকে গতকাল সকালে শিয়ালদহ আদালত থেকে জামিন পেয়ে বাড়ি ফিরলে দেখেন যে,তাণ্ডব হয়ে গিয়েছে। দীপকের দাবি, তাঁর ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পেটে লাথি মেরেছে হামলাকারীর দল। যার জেরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর অবস্থা এখন আশঙ্কাজনক। তিনি এই মুহূর্তের কলকাতার ইডেন হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এখানেই শেষ নয়, আরও অভিযোগ, মারধর করা হয়েছে বাড়ির শিশুদেরও। দীপকের মা ও আক্রান্তের শাশুড়ির এখনও ওই ঘটনার পর সামলে উঠতে পারেননি। তিনি বলছেন, 'টাকা -পয়সাও লুঠ করা হয়েছে। সব কিছু ভাঙচুর করে দিয়েছে হামলাকারীরা।' গোটা ঘটনায় অভিযোগের তীর তৃণমূল বিধায়ক ও কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন অভিযুক্ত বিধায়ক ও কাউন্সিলর।