করুণাময় সিংহ, মালদা: ট্যাব কেলেঙ্কারির পর এবার স্কলারশিপে (Malda Scholarship Controversy) দুর্নীতির অভিযোগ উঠল মালদায়। মাদ্রাসার পড়ুয়াদের স্কলারশিপের লক্ষ লক্ষ টাকা ভুয়ো অ্যাকাউন্টে চলে যাওয়ার অভিযোগ। আর্থিক তছরুপে অভিযুক্ত মাদ্রাসায় ফর্ম ফিলাপের দায়িত্বে থাকা কম্পিউটার শিক্ষক ও প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। সিআইডি তদন্তের দাবি পড়ুয়াদের।
স্কলারশিপে দুর্নীতির অভিযোগ: আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত রতুয়ার বাটনা জেএম সিনিয়র মাদ্রাসায়, পাঠরত স্নাতকোত্তরের পড়ুয়াদের দাবি, নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী স্কলারশিপের জন্য আবেদন করেছিলেন তাঁরা। প্রথম বর্ষে ২৪ হাজার টাকাও পেয়েছিলেন। দ্বিতীয় বর্ষেই বিপত্তি। অভিযোগ, প্রায় দেড়শো জন পড়ুয়ার টাকা ঢুকে গেছে অন্য অ্যাকাউন্টে। আর্থিক তছরুপে অভিযুক্ত ফর্ম ফিলাপের দায়িত্বে থাকা কম্পিউটার শিক্ষক ইনজামামুল হক ও প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন। বাটনা জেএম সিনিয়র মাদ্রাসার আব্দুর রহিম বলেন, "এই টাকাটা ঢুকেছে যারা অবৈধ ছাত্র। আমার কাছে তালিকা রয়েছে। এই তালিকায় অনেকগুলো নাম রয়েছে যারা অবৈধ ছাত্র। তাদের বয়স প্রায় ৫০, ৫৪, ৬০, ৭০, এই ধরনের বয়স শুনেছি। আমাদের যিনি প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন তিনি আমাদের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তার সঙ্গে অনেকে জড়িত রয়েছে।'' আরেক ছাত্রের অভিযোগ, "আমাদের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মহাশয় এবং কম্পিউটার শিক্ষক ইনজামামুল হক ওঁরাই আছেন। ওঁদের আমরা শাস্তি চাই। আমাদের টাকা, যেটা আমরা বৈধ ছাত্ররা পাইনি, আমাদের টাকা যেন পাওয়া হয়।''
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, জেলাশাসক এবং জেলা শিক্ষা দফতরে অভিযোগ দায়ের করেছেন পড়ুয়ারা। দুর্নীতির তদন্তের দাবি জানিয়ে সিআইডির কাছেও লিখিত আবেদন করেছেন তাঁরা। যে যে অ্যাকাউন্টে তাদের টাকা গেছে সেই ভুয়ো প্রাপকদের তালিকাও প্রশাসনকে জমা দিয়েছেন। যদিও বাটনা জেএম সিনিয়র মাদ্রাসার কম্পিউটার শিক্ষক ইনজামামুল হক জানিয়েছেন তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন। গোটা ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার জেলা শাসক নিতিন সিংহানিয়া।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Amdanaga News: থানায় মহিলাকে মারধরের অভিযোগ, আমডাঙার আইসি-র বিরুদ্ধে মামলা বারাসাত জেলা আদালতে