আশাবুল হোসেন, কলকাতা :  মালদা থেকে আনা আমসত্ত্ব নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee)  সঙ্গে দেখা করল সায়ন্তিকা দাস (Sayantika Das)। সায়ন্তিকা মালদার একটি স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। কন্যাশ্রী (Kanyashree) , সবুজ সাথী (Sabuj Sathi) প্রকল্পে উপকৃত ছাত্রীর দুই দিদি। মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে এদিন মালদা থেকে কলকাতায় এসে কালীঘাটে (Kalighat)  মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে দেখা করল সায়ন্তিকা দাস। সঙ্গে ছিলেন মা-বাবা।


সায়ন্তিকার দাবি, অভাবের সংসারে তার দুই দিদির পড়াশোনা বন্ধ হতে বসেছিল। কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী প্রকল্পের জন্য বর্তমানে একজন স্নাতকোত্তর, আরেক জন স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করছে। রাজ্য সরকারের দেওয়া স্কুলের পোশাক, মিড ডে মিলের জন্য উপকৃত সায়ন্তিকা নিজেও। 


 সায়ন্তিকার বাবা প্রদীপ দাস । মা উমা দাস । টানাপোড়েনের সংসার। অভাব তো ছিলই। তাই দুই দিদি সহ সায়ন্তিকার পড়াশোনা চালানো কঠিন হয়ে পড়ছিল।  রীতিমতো সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল বাবা-মাকে। কিন্তু সেই সময়  মুখ্যমন্ত্রীর কন্যাশ্রী প্রকল্প তার দিদিদের সহায়ক হয়।  অনেক সুযোগ সুবিধা পেয়েছে তারা রাজ্যের অন্যান্য প্রকল্প থেকে। তাই এই ছোট্ট মেয়েটি ধন্যবাদদিয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে । 





আরও পড়ুন :


'ফাটা বাঁশ নিয়ে তেড়ে যাবেন', ভোট লুঠ রুখতে বুথে বুথে দুর্গাবাহিনীকে আহ্বান সুকান্তর


যাতায়াতের সুবিধের জন্য স্কুলের মাধ্যমে ছাত্রীদের সাইকেল দেয় রাজ্য সরকার। ২০১৫ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে রাজ্যে চালু হয় ‘সবুজসাথী’ প্রকল্প। এই প্রকল্পে স্কুল পড়ুয়াদের সাইকেল দেয় রাজ্য সরকার। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই প্রকল্প বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মান পেয়েছে। ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ‘কন্যাশ্রী’র পর ‘সবুজসাথী’ বিশ্বসেরার পুরস্কার পায় WSIS এর তরফে।


বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নানা জনপরিষেবামূলক প্রকল্প নিয়ে প্রতিযোগিতায়  রাষ্ট্রপুঞ্জ অধীনস্থ সংস্থা World Summit on the Information and Society র তরফে দেওয়া হয় পুরস্কার। এর আগে, ২০১৭ সালে বিশ্বের ৬৩টি দেশের ৫৫২টি জনপরিষেবামূলক প্রকল্পের মধ্যে, ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্প বিশ্বের দরবারে সেরা করে বাংলাকে। সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে মালদা থেকে কলকাতায় আসা। সায়ন্তিকার হাতে উপহার তুলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীও।