করুণাময় সিংহ, মালদা: মালদায় চলন্ত বাসে যাত্রীকে অচেতন করে টাকা ও মোবাইল লুঠের অভিযোগ। মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিত্সা চলছে অসুস্থ যাত্রীর। কী ভাবে ঘটল ঘটনা, তদন্ত করছে পুলিশ।
চলন্ত ট্রেনে পানীয় বা খাবারে মাদক মিশিয়ে যাত্রীকে অচেতন করে লুঠের ঘটনার কথা প্রায়ই শোনা যায়। এবার চলন্ত বাসে যাত্রীকে বেঁহুশ করে টাকা ও মোবাইল লুঠের অভিযোগ উঠল মালদায়। অসুস্থ যাত্রীকে ভর্তি করা হয়েছে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মুকলেসুর রহমান নামে ওই যাত্রীর বাড়ি রতুয়ার বিলাইমারিতে। রাজস্থানে শ্রমিকের কাজ করেন তিনি। মালদা টাউন স্টেশনে নামার পর বৃহস্পতিবার সকালে মিনিবাসে করে আসছিলেন।
এনায়েতপুর বাসস্ট্যান্ডে নেমে তিনি কোনওমতে জানান, তাঁর টাকাপয়সা ও মোবাই ফোন ছিনতাই করা হয়েছে। তারপরই লুটিয়ে পড়েন তিনি।
মালদা এনায়েতপুরের সিভিক ভলান্টিয়ার শেখ তফিজুলের কথায়, 'আমি স্ট্যান্ডে ছিলাম। হঠাৎ দেখলাম উনি টলতে টলতে আসছেন। বললাম, নেশা করছে সাইডে থাক। আমার পার্স ছিনতাই করেছে। পড়ে গেল। মাথাতে জল দিলাম। বলেছে, নাকের সামনে মনে হয় কেউ কিছু করছে। মুখে রুমালটা কিছু করেছে।'
মানিকচকের বাসিন্দা সেলিম বিশ্বাসের কথায়, 'বাস থেকে নামল। স্থানীয়রা এল। পার্স, মোবাইল ছিল না। টোটো করে মানিকচক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর জ্ঞান হারায়।' মালদার পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, যে মিনি বাসে ওই ব্যক্তি যাচ্ছিলেন, সেটির খোঁজ চলছে। কী ভাবে ঘটেছে ঘটনাটা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই ব্যক্তির জ্ঞান ফিরলে পুরো বিষয়টি জানা যাবে।
গত ৭ সেপ্টেম্বর জলপাইগুড়িতে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। অসুস্থ বৃদ্ধ দম্পতির গলায় ধারাল অস্ত্র ঠেকিয়ে, মারধর করে নগদ ও গয়না মিলিয়ে প্রায় সাত লক্ষাধিক টাকা লুঠ করে পালিয়ে যায় ডাকাত দল। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দেব নগর এলাকায় মঙ্গলবার ভোর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে।
বাড়িতে একাই থাকতেন নিঃসন্তান দম্পতি দিলীপ বসু ও রত্না বসু। কিছুদিন আগে করোনায় আক্রান্ত হন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মী দিলীপ বাবু। সুস্থ হয়ে ওঠার পর পরবর্তী চিকিৎসার জন্য বাড়িতে চার লক্ষ টাকা ব্যাঙ্ক থেকে তুলে রাখেন তিনি।এদিন ভোর রাতে দিলীপ বাবুর বাড়িতে হানা দেয় চার জনের একটি ডাকাত দল।
গ্রিলের দরজা ভেঙে একে একে ঘরের ভেতরে ঢুকে পড়ে তারা। বৃদ্ধ দম্পতিকে মারধর করে গলায় ধারালো অস্ত্র ধরে লুটপাট চালায়। নগদ এবং সোনা মিলিয়ে সাত লক্ষাধিক টাকা ডাকাতি করে পালিয়ে যায়। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ।