করুণাময় সিংহ, মালদা: ফের টিয়া পাখি উদ্ধার। বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতাগামী ডাউন যোগবাণী এক্সপ্রেস ট্রেনের এস ৩ কামরা থেকে প্রায় আড়াইশো টিয়া পাখি উদ্ধার করলো মালদা টাউন জিআরপি। তবে কামরায় পুলিশের আসার আগেই পাচারকারী ট্রেন থেকে নেমে পালিয়ে যায়।
মালদা টাউন স্টেশনের জিআরপি আইসি ভাস্কর প্রধান জানিয়েছেন, বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে জিআরপি কর্মীরা ডাউন যোগবাণী এক্সপ্রেসে তল্লাশি চালান। সেই সময় এস ৩ কামরার শৌচাগারের পাশ থেকে চারটি খাঁচায় বন্দি থাকা টিয়াপাখি উদ্ধার করে জিআরপি। প্রায় ২৫০ টি টিয়া পাখি উদ্ধার করা হয়। এর আগেও জিআরপি পুলিশ যোগবাণী ট্রেন থেকে ১৭৫ টি পাখি উদ্ধার করেছিল। আইসি ভাস্কর প্রধান জানান, পাখিগুলি যোগবাণী এক্সপ্রেসে পাচারকারীরা কলকাতার বিক্রি করার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল। বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে জিআরপি পুলিশ পাচারের আগেই টিয়া পাখি গুলিকে উদ্ধার করে ফেলে। উদ্ধার হওয়া টিয়া পাখি গুলি মালদা বনদফতরের কর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এর আগেই চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহতেই ভারত-নেপাল সীমানা সংলগ্ন বিহারের অরারিয়া থেকে কলকাতাগামী যোগবাণী ট্রেন থেকে প্রায় ১৭৫ টি টিয়াপাখি উদ্ধার করা হয়েছিল। মালদা টাউন স্টেশনের জিআরপিও সে বারও এই এক্সপ্রেস ট্রেনে সংরক্ষিত কামরা থেকে পাখিগুলি বাজেয়াপ্ত করেছিল। খাঁচায় বন্দি করে পাখিগুলি কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
আরপিএফ এর আগে গত ২৭ জুলাই যোগবাণী এক্সপ্রেস থেকে প্রায় এক হাজার টিয়া পাখি উদ্ধার করেছিল। এরপর গত ৩ অগাস্ট রাতে ফের ওই ট্রেনেরই সংরক্ষিত কামরায় চারটি খাঁচায় বন্দি টিয়াপাখি উদ্ধার করা হয়। সেদিনও গোপন তথ্যের ভিত্তিতেই হানা দিয়ে টিয়া পাখিগুলি উদ্ধার করেছিল মালদা টাউন জিআরপি। সেবারই কামকায় জিআরপি পৌঁছনোর আগেই পাচারকারী গা ঢাকা দিতে সক্ষম হয়েছিল। উদ্ধার করা টিয়া পাখিগুলি বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। মালদা বন বিভাগের রেঞ্জ আধিকারিক জানিয়েছিলেন যে, খাঁচাবন্দি উদ্ধার টিয়া পাখিগুলির মধ্যে একটির মৃত্যু হয়েছিল। বন্যপ্রাণ আইন অনুযায়ী, এই ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল।