করুণাময় সিংহ, মালদা: গঙ্গায় জলের স্তর বৃদ্ধির ফলে রেললাইন ছুঁয়ে প্রবাহিত হচ্ছে জল। এ কারনে মালদা ডিভিশনে বাতিল করা হল ১৩ টি ট্রেন। রূট পরিবর্তন করা হয়েছে আরও ১৬ টি ট্রেনের। মালদা ডিভিশনের ডিআরএম জিতেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, মালদা থেকে সাহেবগঞ্জ, সাহেবগঞ্জ-ভাগলপুর, ভাগলপুর থেকে জামালপুর রুটের সমস্ত প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বেশকিছু দূরপাল্লার ট্রেনের রুট পরিবর্তন করা হয়েছে। কিউল হয়ে ট্রেনগুলিকে দিল্লি পাঠানো হচ্ছে। এছাড়া মালদা থেকে দিল্লি যাওয়ার ট্রেনগুলিকে কাঠিহার, পাটনা হয়ে দিল্লি পাঠানো হচ্ছে।
যে সব ট্রেনগুলি বিহার ও ঝাড়খণ্ড দিয়ে চলাচল করে বা ওই দুই রাজ্যে যাচ্ছে, সেগুলি হয় বাতিল করা হয়েছে বা পথ পরিবর্তন করা হয়েছে। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কলকাতা-মালদা-নিউ জলপাইগুড়ি রুটে ট্রেন পরিষেবায় প্রভাব পড়েনি। কিন্তু কয়েকটি জায়গায় গঙ্গার জল বাঁধ উপড়ে রেললাইন বরাবর থাকা কালভার্টগুলির নীচ দিয়ে বইছে। জলের তোড় বেশি থাকায় ট্রেনগুলি বাতিল বা যাত্রাপথের পরিবর্তন করা হয়েছে।
একদিকে গঙ্গার জলের স্তর বৃদ্ধির ফলে যখন বাতিল করা হচ্ছে একের পর এক ট্রেন তখন গঙ্গা ও ফুলহার নদীর জল বৃদ্ধির ফলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে মালদায়। ফুলহারের জলে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের উত্তর ভাকুরিয়া, দক্ষিণ ভাকুরিয়া, মিয়াহাট সহ বেশ কয়েকটি এলাকা। প্রশাসনের উদাসীনতার অভিযোগ তুলছেন এলাকার বাসিন্দারা। রতুয়াতেও গঙ্গা ও ফুলহার নদীর জলের স্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ব্রিজের উপর গবাদি পশুদের নিয়ে ত্রিপল খাটিয়ে বসবাস করছেন এলাকার বাসিন্দারা। প্রায় ২০০ বিঘা জমির ফসল চলে গেছে জলের তলায়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ তুলছেন এই এলাকার বাসিন্দারাও। পর্যাপ্ত ত্রাণ মিলছে না বলে দাবি করেছেন মহানন্দ টোলা গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল সদস্য মৃণাল মন্ডল।
অন্যদিকে, মালদার জেলা শাসক রাজর্ষি মিত্র জানিয়েছেন, প্রত্যেকটি ব্লক অফিসে পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ রয়েছে। দুর্গত এলাকা গুলোতে ত্রাণ বিতরণ শুরু হয়েছে। গবাদিপশুর খাবারও পাঠানো হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন ।