মালদা: ক্যাম্পাসে ঢুকে ছাত্রীকে কোপ। পরে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা যুবকের। মালদার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটল। ছাত্রীকে কোপ মেরে নিজেকেও শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করেন ওই যুবক। দু'জনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁদের। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। (Malda News) 


বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ক্লাস চলাকালীন এই ঘটনা ঘটে ক্যাম্পাসের ভিতর। হামলার শিকার ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর স্তরের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া। অভিযুক্ত যুবক বিশ্ববিদ্যালয়েরই প্রাক্তনী। তিনি ছিলেন পদার্থবিজ্ঞানের পড়ুয়া। অভিযোগ, ছুরি দিয়ে প্রথমে ছাত্রীটিকে এলোপাথাড়ি কোপান ওই যুবক। এর পর ছুরি দিয়ে নিজের গলাও কেটে ফেলেন। (University of Gour Banga)


বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটনার সময় যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁরা জানিয়েছেন, প্রাণে বাঁচে ওই ছাত্রী পালানোর চেষ্টা করেন। আড়ালে আশ্রয় খোঁজেন। সেই সময় ফের তাঁকে এলোপাথাড়ি কোপান অভিযুক্ত। ফলে গুরুতর আহত হন ওই ছাত্রী। সেই অবস্থায় ওই যুবক নিজের গলাতেও ছুরি চালান। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই নিজের গলা কেটে ফেলেন তিনি। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন। ক্যাম্পাসের ভিতর চাপ চাপ রক্ত পড়ে থাকতেও দেখা গিয়েছে।


আরও পড়ুন: Sukanta Majumdar: 'হতাশা থেকে মিথ্যে প্রচারের রাজনীতি', উত্তরবঙ্গ নিয়ে BJP বিধায়কেরই নিশানায় সুকান্ত


বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকজনই দু'জনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সম্পর্কের টানাপোড়েনেই এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। ওই ছাত্রীর সহপাঠীদের সঙ্গেও কথা বলছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীর বাড়ি আসলে অসমে। সেখান থেকে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসেছিলেন। ওই ছাত্রের বাড়ি ইংরেজ বাজারে।


বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলছেন পুলিশ আধিকারিকরা। সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে এমনটা ওই যুবক ঘটিয়েছেন বলে যদিো মনে করা হচ্ছে। কী থেকে এমন পরিস্থিতি তৈরি হল, তাও জানার চেষ্টা চলছে। গোটা ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। আতঙ্কিত স্থানীয় মানুষজনও। 


বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এমন ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ডেভলপমেন্ট অফিসার রাজীব পুততুণ্ড বলেন,. "প্রাক্তন ঠাত্র বর্তমান ছাত্রীকে আঘাত করে। পরে নিজে ছুরিকাহত হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে ওদের দু'জনকে বাঁচানোই আমাদের লক্ষ্য। বাকিটা পরে দেখছি। আমাদের অধ্যাপকরাও রয়েছেন।"