করুণাময় সিংহ ও অভিজিৎ চৌধুরী, মালদহ: ভালুকের (bear) খেলা দেখাতে গিয়ে বন দফতরের (forest department) হাতে গ্রেফতার (arrest) তিন। উদ্ধার (rescue) হয়েছে ভালুক। গত কাল দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের (malda) গাজল থানার মাতুল এলাকায়। বন দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, ভালুকটি হিমালয়ান বেয়ার বা শ্লয় বেয়ার। তফসিল-১ ভুক্ত ওই প্রাণী বিরল প্রজাতির। তাকে নিয়েই গ্রামে গ্রামে খেলা দেখিয়ে বেড়ানোর অভিযোগ। তিন জন ধরা পড়লেও কয়েক জন পালিয়ে যান বলে খবর। তবে ঠিক কজন ফেরার তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে বন দফতর।
কী ঘটেছিল?
গাজল ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাতুল এলাকার ওই ঘটনায় যে তিন জনকে ধরা হয়েছে তাঁদের মধ্যে এক জন বিহারের বাসিন্দা। বাকি দুজন বীরভূম ও মালদহে থাকেন। বন দফতর সূত্রে খবর, বীরভূম ও মালদহের যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের নাম যথাক্রমে লাল মোহাম্মদ কালান্দার এবং প্রাণবল্লভ সরকার। বিহারের যিনি ধরা পড়েছেন, তাঁর নাম পাপ্পু কালান্দার। বৃহস্পতিবার হঠাতই বন দফতর খবর পায়, মাতুল এলাকায় ভালুক নিয়ে খেলা দেখাচ্ছেন এঁরা। তার পরই অভিযান। ভালুক-সহ হাতেকলমে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতদের কাছে এই ধরনের আরও কোন বন্যপ্রাণী রয়েছে কিনা সেটাও জানতে চাওয়া হচ্ছে। জেলা পুলিশের মাধ্যমে শুক্রবার তাঁদের মালদা জেলা আদালতে পেশ করা হবে।
যা জানা গিয়েছে...
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝাড়খণ্ডের রাজমহল থেকে গঙ্গা পার করে মানিকচক এলাকায় এসেছিলেন ধৃত তিন ব্যক্তি-সহ কয়েক জন। সেখান থেকে আলাল ব্রিজ এলাকায় আসেন তাঁরা। পরে আলাল ব্রিজ থেকে একটি অটো ভাড়া করে মাতুল গ্রামে পৌঁছয় দলটি। ভালুক খেলা দেখানো শুরু সেখানেই। তাবিজ-কবচ বিক্রিও চলছিল পাশাপাশি। এক পরিবেশপ্রেমীর নজরে আসে ঘটনাটি। খবর যায় বন দফতরের গাজল রেঞ্জে। গাজল রেঞ্জের রেঞ্জার সুদর্শন সরকার জানালেন, উদ্ধার হওয়া পুরুষ ভালুকটির বয়স আনুমানিক ২০ থেকে ২৫ বছর। উচ্চতা প্রায় ছয় ফিট। সেটিকে আপাতত মালদহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানেই চিকিৎসা করা হবে। এর পর তার কী হবে বা তাকে কোথায় রাখা হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন ডিএফও।
আর যাঁরা পালিয়ে গেলেন তাঁদেরও দ্রুত খোঁজ মিলবে। আশা বন দফতরের।
আরও পড়ুন:আজ আবেদনের শেষ তারিখ, ভারতীয় নৌবাহিনীতে প্রচুর পদে হচ্ছে নিয়োগ