করুণাময় সিংহ, মালদা: মালদার রতনপুর হাটের জমি দখল করে বেআইনিভাবে বাড়ি তৈরির অভিযোগ উঠল জমি মাফিয়ার বিরুদ্ধে। এনিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন হাটের ব্যবসায়ীরা। আর নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। মালদার জেলাশাসক জানিয়েছেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একদিকে বসেছে হাট, পাশেই তৈরি হচ্ছে একের পর এক বাড়ি। অভিযোগ, এই বাড়িগুলি তৈরি হয়েছে বেআইনিভাবে। মালদায় হাটের জমি দখল করে বাড়ি বানানোর অভিযোগ তুললেন ব্যবসায়ীরা। মালদার রতনপুর হাটের ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজের কথা, হাটের জমির রেকর্ড পাল্টিয়ে ১ মিনিট জমি মাফিয়ারা বিক্রি করে দিচ্ছে। কোর্টের নির্দেশকেও তারা মানছে না। বেশিরভাগ হাটের জমি বিক্রি হয়ে গেছে।
মালদার সামসির রতনপুরের হাট ১০০ বছরেরও পুরনো। প্রতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার হাট বসে সেখানে। সূত্রের খবর, ৩-৪ হাজার ব্যবসায়ী তাঁদের পসার সাজিয়ে বসেন। কিন্তু অভিযোগ, প্রোমোটার চক্রের দাপটে সেই হাটের অস্তিত্ব এখন বিপন্ন! জমি মাফিয়ার বাড়বাড়ন্তের নেপথ্যে প্রশাসনের যোগসাজশের অভিযোগ তুলেছেন ব্যবসায়ীরা। হাইকোর্টে মামলাও করেছেন তাঁরা।
হাট ব্যবসায়ী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সফিকুল আলমের দাবি, বিষয়ে প্রশাসনকে শুরু করে নবান্ন তেও জানিয়েছি। এমনকি চাচোল মহাকুমা আদালত হাইকোর্ট বিষয়টি জানানো হয়েছে। মহামান্য আদালতের নির্দেশকে এমন করে তারপরও জমি মাফিয়া জমি বিক্রি করে দিচ্ছে। জমি মাফিয়া পুলিশ প্রশাসন ও সরকারি দপ্তরের সহযোগিতায় এ কাজগুলি করছে।
হাটের জমি দখলের অভিযোগকে কেন্দ্র করেও জড়িয়ে গেছে রাজনীতি। দখলদারিতে তৃণমূলের মদত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। যদিও জমি দখলের কারবার, দল সমথর্ন করে না বলে দাবি করেছে তৃণমূল।
দক্ষিণ মালদার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ির কথায়, শুধু রতনপুর হাত নয়, জেলার আরো অনেক জায়গায় তৃণমূলে র আমলে অনেক জমি বেদখল হয়ে যাচ্ছে জমির নামের রেকর্ড পাল্টিয়ে বিক্রি করছে। জমির মাফিয়ারা শাসকদলের মদতেই এই কাজ গুলি করছেন।
তৃণমূল বিধায়ক ও সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলছেন, বিষয়টি আমার নজরে এসেছে, আমি এডিএম, ডিএম , সাহেবকে নির্দেশ দিব এই বিষয়ে মিটিং করে উপযুক্ত একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রকৃত ঘটনাটি কি রয়েছে সেটি তদন্ত করে দেখার জন্য। জমি দখল বিষয়টি নিয়ে কখনই এটা মানা যাবে না।
মালদার জেলাশাসক জানিয়েছেন, অতিরিক্ত জেলাশাসকের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।