করুণাময় সিংহ, মালদা: কলকাতায় ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিল দেবাঞ্জন। এরপর ভুয়ো চিকিৎসকও দেখেছে এরাজ্য। ভুয়ো আইপিএস, ভুয়ো আইএএস-র গাড়িও শহরে দেখা মিলেছে। যা নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। এমনকি ভুয়ো রেলের টিটিও প্রকাশ্যে এসেছেন অতীতে। আর এবার রাজ্যে দেখা মিলল জাল শংসাপত্রের অভিযোগ উঠল আমের শহর মালদায়।


জানা গিয়েছে, তপশিলি জাতির শংসাপত্র জাল। মালদার চাঁচল ২ নং ব্লকের কাপাসিয়া এলাকার প্রায় ১২ থেকে ১৫ জন তপশিলি জাতির উপভোক্তা এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী তাঁরা ব্লক দপ্তর আবেদন করেছিলেন তপশিলি জাতির শংসাপত্রের জন্য। ব্লক থেকে শংসাপত্র মিলেছিল। কিন্তু সেই শংসাপত্র নিয়ে বিভিন্ন কাজে গিয়ে দেখতে পাচ্ছেন সেই শংসাপত্র জাল। বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।


প্রশ্ন হচ্ছে সরকারি আধিকারিকদের সই করা শংসাপত্র কীভাবে জাল হল ? তবে কি এখানেও কোনও চক্র চলছে ? বৃহস্পতিবার এ ঘটনা সামনে আসতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদার চাচল ২ নং ব্লকের গৌড়হন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের কাপসিয়া নুনিয়াপাড়া এলাকায়। এরপরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির অভিযোগ, 'সরকারটাই সম্পূর্ণ জাল, তাই অবাক হওয়ার কিছু নেই।'


যদিও বিষয়টি খতিয়ান দেখার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা স্থানীয় বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী। বক্সীর দাবি, 'এই ভুলের জন্য কেউ জড়িত থাকলে প্রশাসনকে বলবো পদক্ষেপ নিতে। পাশাপাশি চাঁচলের মহকুমা শাসক সৌভিক মুখার্জি জানিয়েছেন, প্রক্রিয়াগত জন্য এই ভুল হতে পারে। বিডিওকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলছি।'


জানা গিয়েছে, কাপসিয়া  এলাকার প্রায় ১২ থেকে ১৫ জন ছাত্র ছাত্রী তারা বেছপুরা কালিকাপুর স্কুল পড়ুয়া হাই স্কুলের পড়ুয়া। ২০১৯ সাল থেকে ওই পরম্পরায় তপশিলী জাতির শংসাপত্রের জন্য জন্য আবেদন করেছিলেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ২০২০ সালে তারা শংসাপত্র পান। চাঁচল ২ নং ব্লকের পক্ষ সেই শংসাপত্র তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।কিন্তু হাতে সেই শংসাপত্র জাল বলে দাবি করছেন পড়ুয়ারা। 


আরও পড়ুন, বড়দিনে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ছে কলকাতা, থাকবে কুইক রেসপন্স টিম, অ্যাম্বুল্যান্স


স্কুল পড়ুয়ার সেই শংসাপত্র দিয়ে স্কলারশিপের জন্য আবেদন করলে ব্লকের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে সেই শংসাপত্র জাল। এটি কোনও কাজে আসবে না। শুধু তাই নয়, তপশিলি জাতি হওয়া সত্ত্বেও  বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। ঘটনা নিয়ে তাঁরা ব্লক প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন, 'অভিযোগ জানানোর পরেও কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ।'