অভিজিৎ চৌধুরী, করুণাময় সিংহ, মালদা: ১০০ দিনের দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় হুমকি দিচ্ছেন তৃণমূল নেতা (TMC Leader)। এই অভিযোগ ওঠায়, পাল্টা থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল নেতার অনুগামীরা। উত্তেজনা ছড়াল মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুরে (Harishchandra)। প্রায় ৫ ঘণ্টা বিক্ষোভ চলল থানা চত্বরে। তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।
বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূলের একাংশ: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভরতপুরের পুনরাবৃত্তি মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুরে (Harishcandrapur), দু’দিনের মধ্যে ফের থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূলের একাংশ। উঠল স্লোগান। ঘটনার সূত্রপাত, দুর্নীতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে। সম্প্রতি হরিশ্চন্দ্রপুরের সুলতাননগরের কয়েকজন বাসিন্দা, তৃণমূল পরিচালিত স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান ও উপপ্রধানের বিরুদ্ধে জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান।
অভিযোগ, ১০০ দিনের বিভিন্ন কাজের নামে প্রায় ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, প্রতিবাদে সরব হওয়ায় জেলা তৃণমূলের সম্পাদক বুলবুল খান হুমকি দিচ্ছেন বলে,
তাঁর বিরুদ্ধে থানায় FIR-ও দায়ের হয়েছে। পাল্টা এর প্রতিবাদে সোমবার বুলবুল খানের অনুগামীরা হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় জড়ো হন। প্রথমে থানার মেন গেটের বাইরে, তারপর ভিতরে ঢুকেও চলে বিক্ষোভ স্লোগান বিকেল পাঁচটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত, এভাবেই বিক্ষোভ চলে। যদিও সেখানে ছিলেন না তৃণমূলের জেলা সম্পাদক।
জেলা নেতৃত্বের বয়ান: মালদার তৃণমূল জেলা সম্পাদক বুলবুল খান বলেন, যারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তাদেরকে আমি চিনি না। পঞ্চায়েত ভোটের আগে আমার মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে। আমি অত সহজে ভাঙবো না।আমি তৃণমূলের সৈনিক। আমি মমতা ব্যানার্জির সৈনিক। হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছি এর শেষ দেখে ছাড়ব।
হরিশ্চন্দ্রপুরের দুর্নীতির অভিযোগকারী ও বাসিন্দা মহম্মদ ইয়াহিয়ার কথায়, চোরেরাই থানা ঘেরাও করছে, আমাদের কাছে প্রমাণ আছে, পুলিশ তদন্ত করুক, আমরা প্রমাণ দেব।মালদায় থানা ঘেরাও তৃণমূলের। কটাক্ষ কংগ্রেসের
মালদার কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রণব ভট্টাচার্যের কথায়, তৃণমূলের ট্রেন্ড হয়েছে, থানা ঘেরাও করে সাফাই দিতে চাইছে। কিন্তু ইডি সিবিআই নিয়ে জর্জরিত তৃণমূলই, এখন নাটক করছে।
সব মিলিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ও তার পাল্টা কুৎসা রটানোর অভিযোগে থানা ঘেরাও ঘিরে সরগরম হরিশ্চন্দ্রপুরের রাজনীতি।
কুর্মি সম্প্রদায়ের বিক্ষোভ: অন্যদিকে ২৪ ঘণ্টা পরও পুরুলিয়ার কুস্তাউর স্টেশনে রেল অবরোধ অব্যাহত। অবরোধের জেরে রেলের আদ্রা ডিভিশনের তরফে ১১টি প্যাসেঞ্জার ও এক্সপ্রেস ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। রুট পরিবর্তন করা হয়েছে ৬টি এক্সপ্রেস ট্রেনের। ৭টি প্যাসেঞ্জার ও এক্সপ্রেস ট্রেনের রুট সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। এর ফলে চরম হয়রানির শিকার হয়েছেন যাত্রীরা। আদিবাসী কুর্মি সমাজের পক্ষ থেকে কুর্মিদের তফশিলি উপজাতি তালিকার অন্তর্ভূক্তি ও তাদের মাতৃভাষাকে সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবিতে শুরু হয়েছে রেল অবরোধ। অবরোধ চলছে পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলিতেও। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে RPF ও GRP। অবরোধের জেরে সবথেকে বেশি প্রভাব পড়েছে খড়গপুর শাখায়। এছাড়া হাওড়াতেও প্রভাব পড়েছে।