করুণাময় সিংহ, মালদা: ফের নদীতে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেল একটি প্রাণ। মহানন্দার (Mahananda River) জলে তলিয়ে গেল দশ বছরের নাবালিকা। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মালদার চাঁচলের (Chanchol) মথুরাপুর মহানন্দা ঘাটে। ওই নাবালিকার নাম টগরি দাস। তার বয়স ১০ বছর। বাড়ি দরিয়াপুর গ্রামে। কিছুদিন আগে মারা গিয়েছিল টগরির জ্যাঠতুতো দাদা। আজ  সেই দাদার শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান ছিল ঘাটে। কাজ সেরে নদীতে স্নান করতে গিয়ে নদীর জলে তলিয়ে যায় বোন। শুরু হয় উদ্ধার কাজ। এই প্রতিবেদন লেখা  এখনো পর্যন্ত খোঁজ পাওয়া যায়নি সেই নাবালিকার। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে চাঁচোল থানার পুলিশ।


কিছুদিন আগেই মালদায় নদীর জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছিল এক কিশোরের। সে বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানে । আনন্দে মজায় দিন কাটানোর বদলে জীবনে নেমে এসেছিল ঘন অন্ধকার। নদীর জলে ডুবে মৃত্যু হল এত কিশোরের। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে মালদার পুখুরিয়া থানার চাঁদপুর অঞ্চলে।


বিয়েবাড়িতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি


বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানে গিয়ে নদীর জলে ডুবে মৃত‍্যু হয়েছিল এক কিশোরের। শনিবার পুখুরিয়া থানার চাঁদপুরে এই ঘটনাটি ঘটে। স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল‍্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে মৃতের নাম আরিফ হোসেন। বয়স মাত্র ১০।


মৃতের বাড়ি রতুয়া থানার শ্রীপুর এলাকায়। গতকাল সে চাঁদপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে আসে। জানা যাচ্ছে, সমবয়সীদের সঙ্গে নদীতে স্নান করতে গেলে নিখোঁজ হয়ে যায়। খুদেকে খুঁজতে আসে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। তাঁদের দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চালানোর পর দেহ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন‍্য দেহটিকে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে।


বন্ধুকে বাঁচাতে গিয়ে ডুবে মৃত্যু হয়েছিল ছাত্রের


কয়েক মাস আগে আরও একটি ঘটনার খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। নদীতে ডুবতে থাকা বন্ধুকে বাঁচাতে গিয়ে ডুবে মৃত্যু হয়েছিল একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রের। ঘটনাটি ঘটেছিল সালানপুর থানার বরাকর নদীর বৃন্দাবন ঘাটে। পুলিশ জানিয়েছিল, রূপনারায়ণপুরের বাসিন্দা ছয় কিশোর আজ মাইথন সংলগ্ন বৃন্দাবন ঘাটে ঘুরতে যায়। সেখানে নদীতে স্নান করতে নামে সৌভিক নামে এক কিশোর। সে ডুবে যাচ্ছে দেখে তাকে বাঁচাতে জলে নেমে পড়ে যশরাজ তেওয়ারি ও আরও এক বন্ধু। তিনজনেই ক্রমে তলিয়ে যেতে থাকলে সেখানে উপস্থিত গ্রামবাসীরা উদ্ধারে নেমে পড়ে। তিনজনকেই উদ্ধার করা হয়। কিন্তু, যশরাজকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।