করুণাময় সিংহ, মালদা : ১০০ দিনের প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের প্রধান ও উপ প্রধানের বিরুদ্ধে। জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন গ্রামবাসীর একাংশ। হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূল নেতার (TMC Leader) বিরুদ্ধেও। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল প্রধানের স্বামী। ফোন ধরেননি হুমকি দেওয়ায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ।


বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote)। তার আগে, ফের পঞ্চায়েতে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। অভিযোগ প্রায় ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে মালদার তৃণমূল পরিচালিত সুলতাননগর পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানের বিরুদ্ধে!। এনিয়ে জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন গ্রামবাসীর একাংশ।


খুনের হুমকি ?


অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে । অভিযোগকারীদের দাবি, ১০০ দিনের কাজে পুকুর খনন, বৃক্ষরোপণ, রাস্তা তৈরি সহ একাধিক প্রকল্পে টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। প্রায় ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন হরিশ্চন্দ্রপুর সুলতাননগর পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান। অভিযোগ করার পর থেকে লাগাতার খুনের হুমকি দিচ্ছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা বুলবুল খান। হরিশচন্দ্রপুরের সুলতাননগরের বাসিন্দা মহম্মদ ইয়াহিয়া বলেন, ১০০ দিনের প্রকল্পে গাছ লাগানো, পুকুর খনন সহ একাধিক প্রকল্পে কাজ না করে প্রায় ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। অভিযোগ প্রত্যাহার না করলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।


দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল প্রধানের স্বামী। সুলতাননগরের তৃণমূল নেতা ও পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী কাউসার আলম বলছেন, ভোটের আগে ষড়যন্ত্র করছে কংগ্রেস ও সিপিএম।


যে তৃণমূল নেতা বুলবুল খানের বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগ উঠেছে তাঁকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি তা ধরেননি। এই দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে তুঙ্গে উঠছে রাজনৈতিক তরজা। মালদা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি কালীসাধন রায় বলেন, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প, আবাসন প্রকল্প থেকে শুরু করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প, বিধবা ও বার্ধক্য ভাতা প্রকল্প সর্বত্র শুধু দুর্নীতি। তৃণমূল আর দুর্নীতি সমার্থক হয়ে গেছে।


মালদা জেলা সিপিএমের সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, সরকারি টাকা মানে আমার আপনার পকেটের টাকা। সরকারি টাকা মানে জনগণের অর্থ। এই ঘটনা গোটা জেলা তথা রাজ্যজুড়ে ঘটছে।


যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর বক্তব্য, সাধারণ মানুষের টাকা গরিব মানুষের টাকা কেউ লুঠপাট করলে দল পাশে দাঁড়াবে না প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে। আর কেউ হুমকি দিয়ে থাকলে তা ক্রিমিনাল অফেন্স পুলিশ তার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।


মালদার জেলাশাসক জানিয়েছেন, অভিযোগে ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।