অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা:  মাঠে খেটে দু’মুঠো অন্ন জোগাড় হলেও, ভাগ্যের চাকা থেমেছিল এক জায়গাতেই। কিন্তু ছেঁড়া কাঁথায় শুয়েই এ হার কোটি টাকার স্বপ্ন পূরণ হল মেহবুব আলমের। ৩০ টাকায় কেনা লটারির টিকিটে ১ কোট টাকার পুরস্কার জিতলেন তি (Lottery Win)। তবে কোনও রকমে দিনযাপন করা মেহবুব বিলাসিতা বা শখপূরণের কথা ভাবছেন না। বরং ওই টাকায় মাথার উপর পাকা ছাদ গড়তে চান তিনি। উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করতে চান ছেলেমেয়েকে।


৩০ টাকার লটারিতে ১ কোটি পুরস্কার জয়


মালদা (Malda News) জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর (Harishchandrapur News) থানার সাদলিচক গ্রাম পঞ্চায়েতের সূর্যাপুরা গ্রামের বাসিন্দা মেহবুব। পেশায় ভাগচাষী। লটারির টিকিট কিনে সোমবার সন্ধ্যায় প্রথম পুরস্কার হিসেবে ১ কোটি টাকা জিতেছেন তিনি। আর তাতেই এক মুহূর্তে বদলে গিয়েছে দিন আনা দিন খানা মানুষটির জীবন। এক দিকে শুভেচ্ছায় ভাসছেন তিনি, অন্য দিকে আবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করছেন।


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জীর্ণ, ভেঙে পড়া বাড়িতে স্ত্রী এবং তিন সন্তানকে নিয়ে সংসার মেহবুবের। অন্যের জমিতে চাষ করে সামান্য আয় করেন। তাই দিয়েই চলে সংসার, ছেলেমেয়ের পড়াশোনা। বলা বাহুল্য, বেশ কষ্টেশিষ্টেই দিন কাটছিল গোটা পরিবারের। দিন আনা দিন খাওয়া জীবন নিয়ে নিজেও হাঁফিয়ে উঠছিলেন।


আরও পড়ুন: Jitendra Tiwari Update: জিতেন্দ্রর মুখে কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, 'শুভবুদ্ধির উদয় হল!' কটাক্ষ তৃণমূলের


তাই মুক্তির উপায় খুজতেই মাঝেমধ্যে লটারির টিকিট কাটতেন। সোমবার দুপুরেও মাঠে কাজ সেরে ফেরার সময় কুমেদপুর লটারি এজেন্সির টিকিট বিক্রেতা সেন্টু রবিদাসের কাছ থেকে ৩০ টাকা দিয়ে লটারির টিকিট কেনেন মেহবুব। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ লটারির রেজাল্ট বেরোয়। আর তাতেই বাজিমাত হয়। নম্বর মেলাতে গিয়ে মেবহুব বুঝতে পারেন ১ কোটি টাকার লটারি জিতে গিয়েছেন তিনি।


নিরাপতক্তার তাগিদে পুলিশের দ্বারস্থ


তবে ১ কোটি জেতার আনন্দ যেমন ছিল, তেমনই অত টাকার কথা ভাবতে গিয়ে নিরাপত্তাহীনতায়ও ভুগতে শুরু করেন মেহবুব। তাই লটারির টিকিট হাতে নিয়েই সরাসরি কুমেদপুর পুলিশ ফাঁড়ির সহায়তায় হরিশচন্দ্রপুর থানায় হাজির হন। পুলিশের তরফে নিরাপত্তার আশ্বাস পেয়েছেন তিনি। আত্মীয়-স্বজন, গ্রামের মানুষ জন শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাঁকে।


মেহবুব জানিয়েছেন, মাঝেমধ্যে লটারির টিকিট কাটলেও, ৩০ টাকার টিকিট জীবন পাল্টে দেবে বলে ভাবতে পারেননি তিনি। ১ কোটি টাকা নিয়ে কী করবেন, সে ব্যাপারে এখনও বিশেষ পরিকল্পনা করেননি মহবুব। তবে একটি ভাল বাড়ি বানানোর ইচ্ছা রয়েছে তাঁরা। ছেলেমেয়েদের ভাল ভাবে পড়াশোনা শিখিয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করাতে চান তিনি।