করুণাময় সিংহ, মালদা: জাল আধার কার্ড (Aadhaar Card) তৈরির অভিযোগে গ্রামের বাড়িতে হানা দিয়ে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল মালদার (Malda) মানিকচক (Manikchak) থানার পুলিশ। অভিযোগ, পাঁচশো টাকার বিনিময়ে ভুয়ো আধার কার্ড তৈরি করতেন ওই ব্যক্তি। নিজের বাড়িতে ল্য়াপটপ (Laptop) আর প্রিন্টার (Printer) নিয়ে ফেঁদেছিলেন ব্যবসা। চক্রে আর কারা জড়িত, তদন্তে পুলিশ।
‘আধার কার্ডের জন্য কোনও সরকারি প্রতিষ্ঠানে ভোররাত থেকে হত্যে দেওয়ার দরকার নেই। ৫০০ টাকা খরচ করলেই মিলবে আধার কার্ড’, এমন আশ্বাস দিয়ে জাল আধার কার্ড তৈরির অভিযোগ উঠল মালদার মানিকচকের এক বাসিন্দার বিরুদ্ধে। বালুটোলা গ্রামে অভিযুক্তের বাড়িতে হানা দিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার সন্ধেয় মানিকচক থানার আইসির নেতৃত্বে একটি দল গোপালপুরের বালুটোলা গ্রামে পৌঁছয়। বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় মজিবুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে। পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃতের বাড়ি থকে একটি ল্যাপটপ ও একটি প্রিন্টার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে দাবি, বাড়িতেই ফাঁদা হয়েছিল জাল আধার তৈরির ব্যবসা।
মালদা জেলা পুলিশ সুপারের বক্তব্য, ধৃত ব্যক্তি কীভাবে আধার কার্ড তৈরি করতেন? কারা তাঁর কাছ থেকে আধার কার্ড করিয়েছেন? চক্রে আর কে বা কারা যুক্ত, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সম্প্রতি জানান হয়েছে, যদি ৩০ নভেম্বরের মধ্যে EPFO-র ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বর (UAN)-এর সঙ্গে আধার (Aadhar)নম্বর লিঙ্ক না করেন, তাহলে আপনার অ্যাকাউন্টে কোম্পানি থেকে আসা বরাদ্দ বন্ধ হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, EPFO থেকে আপনার নিজের কষ্টার্জিত অর্থ তুলতে গিয়েও সমস্যার সৃষ্টি হবে। যদি EPF অ্যাকাউন্টধারীর অ্যাকাউন্ট আধার নম্বরের সাথে লিঙ্ক করা না থাকে, তাহলে EPFO-এর সব পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হবেন আপনি।
UAN নম্বর কী ? কোনও কর্মচারী EPFO-তে রেজিস্টার করার সঙ্গে সঙ্গে কর্মচারী এই সংগঠনের সদস্য হয়ে যান। সদস্যপদ পাওয়ার পরই তাঁকে একটি ১২ সংখ্যার UAN (ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বর) দেওয়া হয়। এই নম্বরের সাহায্যে EPFO-র সুবিধা পান ওই কর্মচারী। UAN নম্বরের সাহায্যে একজন কর্মচারী তার PF অ্যাকাউন্টের পাসবুক অনলাইনে দেখতে পারবেন। পাশাপাশি তিনি অনলাইনে তার PF (Provident Fund) ব্যালেন্স চেক করার সুযোগ পাবেন। প্রয়োজনে নমিনেশেনে ব্যক্তির নাম আপডেট করতে পারবেন এই নম্বরের মাধ্যমে।