অভিজিৎ চৌধুরী, মালদাঃ টোটো দুর্ঘটনায় শিশুর মৃত্যু (Road Accident)। মামার বাড়ি ঘুরতে যাওয়ার সময় পথ দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যু ৪ বছরের পুত্র সন্তানের। গুরুতর জখম রয়েছেন মৃত পুত্রের মা-‌সহ আরও ৩ জন। টোটোতে যাওয়ার সময় পেছন থেকে একটি ম্যাক্সি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারলে জখম হন ৫ টোটো যাত্রী। তাঁদের উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (Malda Medical College & Hospital) নিয়ে যাওয়া হলে ওই শিশুর মৃত্যু হয়।


জানা গিয়েছে, মৃত শিশুর নাম সানিউল শেখ। মালদা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন মা আঞ্জুমা বিবি-‌সহ আরও ৩ জন। তাঁদের বাড়ি ইংলিশবাজার থানার মিল্কির মাদিয়া এলাকায়। এদিন আঞ্জুমা বিবি ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়ি মোথাবাড়ি থানার সাটাঙ্গাপাড়ায় যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে হরিশপুর সাট্টারী এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।মূলত রাজ্যে গত কয়েক বছর ধরে সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ নিয়ে একাধিক কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। মাইকিং, অনুষ্ঠান, পোস্টার, ব্যানার করে সকল সচেতন করছে পুলিশ প্রশাসন। তারপরেও বেপরোয়া ড্রাইভের নেশা ছাড়তে পারেননি অনেকেই। অনেকেই বাইরে বসে হেলমেট পড়ছেন না। গাড়িতে বসে সিট বেল্ট বাধছেন না। নিয়ম বিধি না মেনে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনার মুখোমুখি হচ্ছেন। তবে ট্রাফিক আইন না মেনে চলা তো একটা বড় ইস্যু বটেই। অনেক ক্ষেত্রেই অদক্ষ হাতেও রাস্তায় গাড়ি তুলছেন। আর তা ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। 


আরও পড়ুন, কাঁধে করে গরু নিয়ে পাচার করতেন অনুব্রত: অনুপম হাজরা


প্রসঙ্গত,  রাজ্যের ঘটে চলা দুর্ঘটনার পরিমাণ বেড়েই চলেছে। কয়েকদিন আগেই বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়  হাওড়ার এক দম্পতির। মধ্যরাতে দুর্ঘটনাটি ঘটে ডোমজুড়ের শলপ ব্রিজে। দিদির বাড়ির পুজোতে গিয়ে ফেরার পথেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। ব্রিজ থেকে ছিটকে সার্ভিস রোডে পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই দম্পতির। বেপরোয়া ভাবে বাইক চালানোর জেরেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়। পাশাপাশিউত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে যাত্রী নিয়ে জাতীয় সড়কের ধারে কারখানায় ঢুকে পড়ে একটি বাস। জানা গিয়েছে, ওই বাস দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান এক মহিলা যাত্রী। আহত হয় ২০ জনেরও বেশি। তারপর জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে  মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তিন মোটরসাইকেল আরোহীর। পুরুলিয়ার নিতুরিয়া থানার নিমডাঙা গ্রামের কাছে ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার পর থেকে নদিয়ার মতোই পুরুলিয়ার ওই এলাকায় টানা সড়ক অবরোধ করে গ্রামবাসীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামে বিশাল পুলিশবাহিনী।