করুণাময় সিংহ, মালদা : মালদায় ( Malda ) ভূতনির চরে ভাঙন ধরাচ্ছে গঙ্গা ও কোশি নদী। মানিকচকের পাশাপাশি, ভাঙন শুরু হয়েছে রতুয়াতেও। বিলাইমারি ও মহানন্দাটোলা এলাকায়, ৭ দিন ধরে কোশি ( Kosi River ) নদীর পাড় ভাঙছে। নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে কৃষি জমি। গঙ্গার ( Ganga ) পাশাপাশি রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে কোশি নদীও। তার জেরে ভয়াবহ ঘটনা ঘটে গেল মালদায়।
গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে গেল বাড়ি
গঙ্গা ( Ganga ) গর্ভে তলিয়ে গেল বাঁধের ১০০ মিটার অংশ। মালদার মানিকচকের ভুতনির চরের কালুটন এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। আতঙ্কে বাড়িঘর সরিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন স্থানীয়রা। গ্রামবাসীদের দাবি গঙ্গা গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে চার-চারটি বাড়ি। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন সেচ দফতরের কর্মীরা।
৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ব্যাপক ভাঙন
রাজ্যে গঙ্গার দ্বিতীয় বৃহত্তম চর ভূতনি। গঙ্গা, ফুলহার ও কোশি, এই ৩টি নদী ঘেরা ভূতনির চর। স্থানীয় সূত্রে খবর, গত কয়েকবছর কোশি নদীতে ভাঙন হয়নি। কিন্তু, এবার ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। ৭টি গ্রাম যে কোনও মুহূর্তে নদীগর্ভে তলিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা। সর্বস্ব খুইয়ে ফেলার আগেই বাড়ির ইট, কাঠের দরজা, জানলা খুলে নিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন নদী পাড়ের বাসিন্দারা।
ভাঙন-বিপর্যয় ও রাজনীতি
মালদায় ভাঙন-বিপর্যয় নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনীতি । তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে চলছে দায় ঠেলাঠেলি । সম্প্রতি আবার আরেকটি ঘটনা ঘিরে এলাকায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য । মালদার ভূতনির চরে বস্তায় বালির পরিবর্তে বস্তা ভরে চলছে ভাঙন প্রতিরোধের কাজ! ভাইরাল ভিডিওয় দেখা গিয়েছে এই ঘটনা । এ নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। অভিযোগ প্রমাণিত হলে করা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান জেলাশাসক।
বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকটি বাড়ি নদীগর্ভে তলিয়ে যাওয়ার পর সেচ দফতরের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। আতঙ্কে এলাকা ছাড়ছেন অনেকে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, ৫০টি পরিবারকে সরানো হয়েছে অন্যত্র।