অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা: গৃহবধূর (Housewife) হাতে শিকল বেঁধে তালা দিয়ে নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। মালদার (Malda) চাঁচল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ওই গৃহবধূর পরিবার। শ্বশুরবাড়ির তরফে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।                   


লোহার শিকল দিয়ে বাঁধা দুই হাত। বড় তালা দিয়ে আটকানো সেই শিকল। অভিযোগ, মালদার চাঁচলের মদকমপুরের বাসিন্দা এই গৃহবধূর হাত এভাবে শিকলে বেঁধে রেখে নির্যাতন চালাতেন শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। বাপের বাড়ির সদস্যদের দাবি, লাগাতার মারধরের কারণে মঙ্গলবার শ্বশুরবাড়ি থেকে মেয়েকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন তাঁরা। চিকিৎসা করানো হয় চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। 


অভিযোগকারিনীর বক্তব্য, "আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন মারার জন্য তালা বেঁধে রাখে। আমাকে সংসারের জন্য খরচাপানি কিছু দেয় না। অনেক দিন থেকে অশান্তি করছে।" অভিযোগকারিণীর দাবি, তিনি অন্তঃসত্ত্বা। সেই অবস্থাতেও শ্বশুরবাড়িতে নিয়মিত শারীরিক নিগ্রহের শিকার হয়েছেন তিনি।                       


আরও পড়ুন, নুন আনতে পান্তা ফুরোয়, আচমকাই অ্যাকাউন্টে ১০ কোটি! 


মঙ্গলবার চাঁচল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই গৃহবধূ। চাঁচল থানার আইসি জানিয়েছেন, অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। বধূনির্যাতনের যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ বছর আগে চাঁচল-১ ব্লকের মকদমপুর জিপির আশ্বিন পুরের বাসিন্দা পিঙ্কি খাতুনের বিয়ে হয় মোবারকপুর গ্রামের বাসিন্দা পেশায় দিনমজুর সাহেব আলীর সঙ্গে। বর্তমানে তাঁদের দুটি কন‍্যা সন্তান রয়েছেএবং ওই বধূ তিনমাসের অন্তঃসত্বা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।               


অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে ওই বধূর উপরে  শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত তাঁর স্বামী ও  শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা। এই ঘটনার কথা তাঁর বাবা মায়ের কাছে জানিয়েছিলেন পিঙ্কি।ঘটনাকে কেন্দ্র করে পিঙ্কির বাপের বাড়ি  ও শ্বশুরবাড়ির সকলকে নিয়ে একাধিকবার গ্রামে সালিশি সভা হয়েছে।