করুণাময় সিংহ, মালদা: কাজ করতে গিয়ে জঙ্গি হামলার শিকার হয়ে হয়েছিল। শ্রীনগরে বুক ফুঁড়ে গিয়েছিল জঙ্গিদের গুলি।  শেষ পর্যন্ত শ্রীনগরে প্রাথমিক চিকিৎসা পর্ব পেরিয়ে মালদহে বাড়ি ফিরলেন গুরতর জখম দুই শ্রমিক। ঘরের লোক বাড়ি ফেরায় স্বস্তি ফিরেছে পরিবারে।

  


মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগ:
এই রাজ্যের দুই বাসিন্দা কাশ্মীরে কাজের সূত্রে গিয়ে জঙ্গি হামলার শিকার হওয়ার পরই খবর পৌঁছেছিল নবান্নে। আহতদের বাড়ি ফেরাতে তৎপর হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শেষ পর্যন্ত মালদায় ফিরিয়ে আনা হল তাঁদের দুজনকে।  দুই শ্রমিকের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে রাজ্য সরকার। আহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন মালতিপুরের তৃণমূল বিধায়ক।


ঘরে ফেরা:
মঙ্গলবারই দিল্লি হয়ে বিমানে কলকাতায় ফেরেন নাজিবুল আলম ও আনিকুল ইসলাম। বুধবার সকালে, গৌড় এক্সপ্রেস থেকে মালদা টাউন স্টেশনে নামেন দুই শ্রমিক। সেখান থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে দুই জনকে। তাঁদের ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। গত শুক্রবার সন্ধেয় শ্রীনগরের জঙ্গিদের ছোড়া গুলিতে জখম হন স্থানীয় আপেল বাগানে কর্মরত মালদার দুই যুবক। 


নিশ্চিন্ত পরিবার:
আহত আনিকুল ইসলামের স্ত্রী মেরিনা বিবি বলেন,'মালদায় ফিরে এসেছে ভালো লাগছে। সুস্থ করে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাই। ফোনে কথা বলছিলাম। গুলির আওয়াজ শুনতে চাই। তারপরই ফোন কেটে যায়। তারপর স্থানীয়রা জানায়, স্বামীর গুলি লেগেছে। আতঙ্কে ছিলাম।' মালতিপুরের তৃণমূল বিধায়ক, আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, 'কেন্দ্র সরকার ১০০ দিনের প্রকল্পে বরাদ্দ কমিয়ে দিচ্ছে। আমাদের পাওনা দেওয়া হচ্ছে না। ফলে সমস্যা হচ্ছে। বাইরে মানুষকে কাজ করতে যেতে হচ্ছে।'


বিজেপির কটাক্ষ:
দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, 'মেলা-খেলার নামে রাজ্য সরকার অর্থের অপচয় করছে। রাজ্যে কর্মসংস্থান নেই। কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তার ফলে এই ধরনের পরিস্থিতি। ভিনরাজ্যে গিয়ে মানুষকে মরতে হচ্ছে।'


আরও পড়ুন: খড়দায় দোতলা বাড়িতে ভাঙন, ধ্বংসস্তূপ সরাতে তৎপর টিটাগর পুরসভা