করুণাময় সিংহ, মালদা: গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বে আইনি ফেনসিডিলসহ এক মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করল ইংরেজ বাজার থানার অন্তর্গত মিলকি ফাঁড়ির পুলিশ। শুক্রবার গভীর রাতে মিল্কি স্ট্যান্ড থেকে মিঠুন সেখ নামে ওই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ১,১২০ বোতল বেআইনি ফেনসিডিল। পিচবোর্ডের বাক্সে ওই ফেনসিডিলগুলি মজুত করে বাইরে কোথাও পাচার করার পরিকল্পনা নিয়েছিল অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি। কিন্তু পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে ওই মাদক কারবারিকে ধরে ফেলে। উদ্ধার হওয়া ফেনসিডিলগুলির বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা বলেও জানিয়েছে তদন্তকারী পুলিশ কর্তারা। ধৃতকে শনিবার আদালতে পেশ করে মিলকি ফাঁড়ির পুলিশ।


গতকাল জলপাইগুড়িতে পাচারের আগেই বাজেয়াপ্ত করা হল কয়েক কোটি টাকার সাপের বিষ। জলপাইগুড়িতে সাপের বিষ পাচার করতে গিয়ে বন দফতরের হাতে ধরা পড়ল একজন। উদ্ধার হল প্রায় ১৩ কোটি টাকার সাপের বিষ। গোপন সূত্রে বিষ পাচারের খবর পেয়ে শুক্রবার গরুমারা জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন এলাকা থেকে ওই ব্যক্তিকে পাকড়াও করেন বনকর্মীরা। ধৃত ব্যক্তি দক্ষিণ দিনাজপুরের বাসিন্দা। ওই বিষ চিনে পাচারের ছক ছিল বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। 


পুলিশ সূত্রে খবর, তিনটি বেলজিয়াম ক্রিস্টাল কাচের জারে সাপের বিষ পাচারের চেষ্টা করছিল এক পাচারকারী। তাকে ধরে ফেলেন গরুমারা বন্যপ্রাণী শাখার কর্মীরা। ধৃত পাচারকারী দক্ষিণ দিনাজপুরের বাসিন্দা। চিনে বিষ পাচার করার কথা ছিল ধৃতের। এই বিষ ১৩ কোটি টাকায় বিক্রির ছক ছিল। ধৃতকে জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে তোলা হয়। জলপাইগুড়ি আদালতের সহকারি সরকারি আইনজীবী সিন্ধু রায় জানিয়েছেন, গরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগের পক্ষ থেকে ধৃতকে ৬ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। ধৃতের আইনজীবী সন্দীপ দত্ত জানিয়েছেন, ধৃতের বিরুদ্ধে সাপের বিষ পাচারের অভিযোগ আছে। তাকে ৬ দিনের হেফাজতে নিয়েছে বনবিভাগ।


জলপাইগুড়িতে চোরাচালান ও পাচারের চেষ্টা নতুন নয়। কিছুদিন আগেই জলপাইগুড়ি জেলার সোনাখালির জঙ্গলে রাতের অন্ধকারে বৃষ্টির মধ্যে পুলিশের সঙ্গে যৌথ অভিযান চালিয়ে কাঠপাচারের চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন বন কর্মীরা।