মালদা: ইংরেজবাজারে বিজেপিতে প্রার্থী অসন্তোষ। ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে দলীয় প্রার্থীকে ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে দেওয়াল লিখন বিজেপি নেতা, কর্মীদের। ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির প্রার্থী রোহিত হালদার। তিনি ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। বহিরাগত প্রার্থীকে ভোট নয়, এই মর্মে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে দেওয়াল লিখনের পাশাপাশি, সোশাল মিডিয়ায় প্রচার শুরু করেছেন বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতা, কর্মীরা। ভোটবাক্সে এর প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিজেপি প্রার্থী। নিজেদের মধ্যে বিরোধ এটাই গেরুয়া শিবিরের সংস্কৃতি, কটাক্ষ তৃণমূলের।
উল্লেখ্য, পুরভোটের আগের রাতে বিধাননগরের (Municipal Election 2022) ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী সাধনা ঢালির বাড়ি ভাঙচুর। দু-দুবার হামলা চালিয়ে জানলার কাচ ভাঙা হয় বলে অভিযোগ । তৃণমূলই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিজেপি প্রার্থী। অভিযোগ অস্বীকার করেন তৃণমূল প্রার্থী সুশোভন মণ্ডল।
সল্টলেকের বিএফ কমিউনিটি হলের বুথে ভুয়ো ভোটার ধরার দাবি বিধাননগরের (WB Municipal Election 2022) ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস জানার। এ নিয়ে উত্তেজনা। সঠিক পরিচয় না দিতে পারায় বহিরাগত বলে দাবি করে এক ব্যক্তিকে ধাওয়া করেন বিজেপি প্রার্থী। শেষপর্যন্ত পালিয়ে যায় ওই ব্যক্তি।
বিধাননগরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে কেষ্টপুরের দেশপ্রিয় বালিকা বিদ্যালয়ের বুথে সিপিএম প্রার্থী অলোক রায়কে হেনস্থার অভিযোগ। তাঁর এজেন্টকেও বুথ থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন বাম প্রার্থী।
অন্যদিকে আবার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে দফায় দফায় উত্তেজনা শুরু হয়। বুথে এজেন্টদের বসার জায়গা নিয়ে সিপিএম প্রার্থী রিঙ্কু রহমানের সঙ্গে নির্দল প্রার্থীর বচসা হয় বিস্তর। ইচ্ছা করে ভোটগ্রহণে দেরি করানোর অভিযোগ করেন বাম প্রার্থী। পরে নির্দল প্রার্থীর এজেন্টের সঙ্গে তৃণমূল প্রার্থীর এজেন্টের বচসা বাধে। পুলিশ গিয়ে দু’ পক্ষকে সরিয়ে দেয়। এর পাশাপাশি, এই ওয়ার্ডে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ উঠল। সিপিএম প্রার্থী দলীয় প্রতীক আঁকা টুপি পরে আটঘড়া অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে ঢোকেন। টুপি খোলান অন্যরা।