করুণাময় সিংহ, মালদা: এবার সরকারি আবাস যোজনার (Awas Yojana) তালিকায় পঞ্চায়েত প্রধানের (panchayat pradhan) স্বামী (husband) এবং শাশুড়ির (mother in law) নাম ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল মালদায় (malda)। বিজেপির অভিযোগ, গ্রামের সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করে স্বজনপোষণ করছেন তৃণমূল নেতা এবং প্রধানরা। প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে, প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের। চাঁচল ২ নম্বর ব্লকের জালালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
কী ঘটেছে?
ঝাঁ চকচকে বাড়ি। অভিযোগ, তা সত্ত্বেও সরকারি আবাস যোজনার তালিকায় নাম রয়েছে চাঁচল ২ নম্বর ব্লকের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মাস্তারা খাতুনের স্বামী হবিবুর সাত্তার ও শাশুড়ি উমেযান বেওয়ার। যদিও প্রধানের দাবি, ২০১৮ সালে এই তালিকা তৈরি হয়েছিল। দলের কোনও কর্মী তালিকায় নাম পাঠিয়ে দিয়েছে। তালিকা দেখে তিনি তা জানতে পারেন। নিজে কখনও এই ব্যাপারে আবেদন করেননি। মাস্তানা খাতুনের আরও দাবি, এর মধ্যেই নাম বাদ দেওয়ার আর্জিও জানিয়েছেন তিনি। সঙ্গে স্বামী হবিবুর সাত্তার বলেন, '২০১৮ সালে আমাদের কাঁচা বাড়ি ছিল। তাই কোনও ভাবে নাম চলে এসেছে। নাম বাতিলের জন্য বিডিওর কাছে আবেদন জানিয়েছি।'
রাজনৈতিক তরজা...
উত্তর মালদা বিজেপি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক রতন দাস অবশ্য এই দাবি মানছেন না। তাঁর মতে, 'সাধারণ মানুষ ঘর পাচ্ছে না অথচ তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা স্বজনপোষণ করছেন। আমরা এদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামব।' যদিও জোড়াফুল শিবিরের বক্তব্য, কোনও ধরনের দুর্নীতিকে দলের তরফে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সির বক্তব্য, 'ঘর পাওয়ার যোগ্য নন এমন কোনও ব্যক্তির নাম তালিকায় থাকলে বাদ যাবে। দল কাউকে এই ধরনের কাজ করার অনুমতি দেয়নি। প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।' উল্লেখ্য, গত কালই আবাস যোজনার ঘর প্রাপকদের নামের তালিকায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বাবার নাম ওঠায় হইচই পড়ে গিয়েছিল। নিশীথ অবশ্য় বিষয়টিকে চক্রান্ত বলে দাবি করেন। সঙ্গে জানান, জেলাশাসকের কাছে নাম বাদ দেওয়ার আর্জিও জানিয়েছেন তাঁর বাবা। সেই সঙ্গে সমীক্ষক দলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থারও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। পাশাপাশি গত কয়েকদিনে পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও একাধিক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে সরকারি আবাস যোজনা তালিকায় নাম থাকার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে। সেই তালিকায় নয়া সংযোজন মালদা।
আরও পড়ুন:আমরণ অনশনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২০০৯-এর প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীরা