সনৎ ঝা, রাজা চট্টোপাধ্যায় ও করুণাময় সিংহ: মালদার ইংরেজবাজারের একটি বুথে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও ঘটনায় তাদের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে শাসক দল। জলপাইগুড়ি ও ময়নাগুড়ির দু’টি বুথে ইভিএম ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।


ইভিএমে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করছেন এক ভোটার। আর তাঁকে যেন পাহারা দিচ্ছেন এই যুবক। একবার নয়, বারবার। ক্যামেরা নজরে পড়তেই বুথ থেকে পিটটান দিলেন এই যুবক।



রবিবার পুরভোটে এমনই ছবি ধরা পড়েছে মালদার ইংরেজবাজার পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের বুথে। এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ইংরেজবাজারেরই ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রামকিঙ্কর বালিকা বিদ্যালয়ে আবার উঠল বুথ দখলের অভিযোগ। 


তৃণমূল প্রার্থী অশোক সাহার বিরুদ্ধে বুথ দখলের অভিযোগ করলেন বিজেপি প্রার্থী দীপশিখা মিশ্র। ধরা পড়েন এক ভুয়ো ভোটার। এ নিয়ে গন্ডগোল বাধলে পুলিশের হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি।


 


জলপাইগুড়ি পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে আবার ইভিএম ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও ইভিএম ভাঙচুরের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে শাসক দল। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রেই কংগ্রেস প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রচার করার অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল জলপাইগুড়ির ১২ নম্বর ওয়ার্ডে।


এরপরই কংগ্রেস প্রার্থী নারায়ণচন্দ্র সরকারকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বুথ থেকে বের করে দেয় পুলিশ। অন্যদিকে, তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধেও ভোট প্রচারের অভিযোগ তুলেছে বিরোধীপক্ষ।


ময়নাগুড়ি পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের পেটকাঠি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথ জ্যাম করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এখানেই বিজেপি প্রার্থী প্রণতি চন্দকে মারধর করে বুথ থেকে বের করে দিয়ে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই বুথেই ভাঙচুর করা হয় ইভিএমও। 


 


অন্যদিকে, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ৯৭ নম্বর বুথেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ ওঠে। প্রতিবাদ জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান আরএসপি প্রার্থী। দীর্ঘক্ষণ পরে স্বাভাবিক হয় এই বুথের পরিস্থিতি।