কলকাতা: বকেয়া চার পুরনিগমে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়েছে গিয়েছে আগেই। বিরোধী শিবিরেও তা নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে। এর মধ্যেই কালীঘাটে (Kalighat) জরুরি বৈঠকে বসলেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বৈঠকে নেতৃত্ব দেবেন। উপস্থিত রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee), সুব্রত বক্সি, অরূপ বিশ্বাস এবং ফিরহাদ হাকিমও। চার পুরনিগমে ভোটের রণকৌশল তৈরি করতেই এই বৈঠকের আয়োজন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার কিছু আগে কালীঘাটের বাড়িতে ফেরেন মমতা। তার আগেই যদিও পৌঁছে গিয়েছিলেন অভিষেক, অভিষেক-সহ দলীয় নেতৃত্ব। তার কিছু ক্ষণ পর বৈঠক শুরু হয়। তৃণমূল সূত্রে খবর, চন্দনগর (Chandannagar), আসানসোল (Asansol), বিধাননগর (Bidhannagar) এবং শিলিগুড়িতে (Siliguri) নির্বাচন সামনেই। কাদের প্রার্থী করা উচিত, দলের রণকৌশলই বা কী হওয়া উচিত, তা পর্যালোচনা করে দেখতেই ওই বৈঠক। ইতিমধ্যেই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই বৈঠকে প্রার্থিতালিকা চূড়ান্ত করে সন্ধ্যার পর তা প্রকাশও করে দেওয়া হতে পারে বলে খবর।
যে চার পুরনিগমে বৈঠক, জেলা অনুযায়ী সেখানকার তৃণমূল প্রতিনিধিরাও এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন। উত্তর ২৪ পরগনা থেকে রয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, কাকলি ঘোষ দস্তিরা, হুগলি থেকে রয়েছেন স্নেহাশিস চক্রবর্তী, ইন্দ্রনীল সেন। আসানসোল তেকে বৈঠকে যোগ দিয়েছেন মলয় ঘটক। প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ার পাশাপাশি, এ দিন বৈঠকে মেয়র পদপ্রার্থীও ঠিক হয়ে যাবে বলে দলীয় সূত্রে খবর। তবে কলকাতা পুর নির্বাচনের মতো হবু মেয়রের নাম ভোট মিটলে ঘোষণা হবে না আগেই ঘোষণা করে দেওয়া হবে, তা স্পষ্ট ভাবে বোঝা যাচ্ছে না।
তৃণমূলের তরফে এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা না হলেও, শিলিগুড়ি পুরনিগমে গৌতম দেবকে সামনে রেখেই এগোচ্ছে তারা। সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিনয় তামাংয়ের সঙ্গে গৌতমের সাক্ষাতে, যা জোর পায় সম্প্রতি। বিধাননগরের ক্ষেত্রে কৃষ্ণা চক্রবর্তী এবং তাপস চট্টোপাধ্যায়ের নাম সামনে আসছে। তবে বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনকারী সবস্যসাচী দত্তকে (Sabyasachi Dutta) নিয়ে দল কী ভাবছে, তা এখনও জানা যায়নি। এ দিনের বৈঠকে সব্যসাচী না থাকলেও সুজিত বসু রয়েছেন।