কলকাতা: আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার কিনারা হয়নি এখনও পর্যন্ত। সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় ছাড়া আর কেউ গ্রেফতারও হয়নি। এই মুহূর্তে রাজনৈতিক ক্ষোভ-বিক্ষোভে তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্য। বিরোধীদের তরফে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি উঠছে। সেই আবহে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা CBI-এর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মমতা স্বয়ং। CBI কী করছে, প্রশ্ন তুললেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। (RG Kar Case)


তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে বুধবার মেয়ো রোডের অনুষ্ঠানে যোগ দেন মমতা এবং অভিষেক। সেখান থেকেই CBI তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। মমতাকে আজ বলতে শোনা যায়, "আমি বলেছিলাম, শনিবার পর্যন্ত শুধু সময় দিন আমাকে। পাঁচ দিন সময় চেয়েছিলাম। মঙ্গলের মধ্যেই CBI হয়ে গেল। ওরা বিচার চায় না। কেসটাকে জলে ফেলে দিল। আজ ক'দিন হল? ১৬ দিন হল মামলা হাতে পেয়েছে CBI. কোথায় গেল বিচার? বিচার চাইতে হবে। বলতে হবে, বিচার চাই, বিচার চাই, জবাব দাও CBI. ফাঁসি চাই, জবাব দাও CBI." (Mamata Banerjee)


CBI তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অভিষেকও। তিনি জানান, ১৪ অগাস্ট 'মেয়েদের রাত দখলের' ডাকে সমর্থন ছিল তাঁদের। সেই লড়াইকে তাঁরা সম্মান জানিয়েছিলেন। যাঁরা রাস্তায় নেমেছিলেন, বাড়িতে থেকেই যাঁরা প্রতিবাদের ডাক দিয়েছিলেন, তাঁরা ধর্ষণমুক্ত সমাজ, দোষীদের কঠোরশাস্তি এবং দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমানে যা হচ্ছে, তা শকুনের রাজনীতি বলে মত অভিষেকের। (Abhishek Banerjee)


আজ অভিষেক বলেন, "চার দিন কলকাতা পুলিশের হাতে মামলা ছিল, ১০, ১১, ১২, ১৩।  ১৪ তারিখ মামলা দেওয়া হল CBI-কে।  সেই থেকে ১৪ দিন অতিক্রান্ত। যাঁরা সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারির দাবি তুলছিলেন, খুন ও ধর্ষণের মামলায় কেন সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হলেন না এখনও, তার জবাব দিতে হবে CBI-কে।  সাধারণ মানুষ বলছেন বিচার চাই, আমরা বলছি বিচার চাই, বলছি, প্রকৃত দোষীরা শাস্তি পাক, আর যাঁরা মৃত্যু নিয়ে শকুনের রাজনীতি করেন...BJP বলছে, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই।"


অভিষেকের দাবি, বারং বার নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। পঞ্চায়েত নির্বাচন হোক বা পুরসভা নির্বাচন, বিধানসভা নির্বাচন হোক বা লোকসভা নির্বাচন, বাংলার মানুষ তাদের গ্রহণ করেনি। তাই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে এই মুহূর্তে বিজেপি বাংলাকে অশান্ত করে তুলছে বলে অভিযোগ করেন অভিষেক। তাঁর মতে, এটা বাংলা, উত্তরপ্রদেশ বা বিহার নয়। এখানে মানুষ মাথা উঁচু করে, মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে, আশা-আকাঙ্খা নিয়ে রাজপথে নামতে পারেন। সিঙ্ঘু বর্ডারে কৃষক আন্দোলনের সময় যেমন সীমানায় পেরেক বসানো হয়েছিল, বাংলায় তা হয় না। তাই সেই বিজেপি-র ভাষণ দেওয়া উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন অভিষেক।