সৌভক মজুমদার, কলকাতা : বন‍্ধের বিরোধিতায় মামলা খারিজ । মামলা খারিজ করল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। মামলাকারী আইনজীবী সঞ্জয় দাস বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাস থেকে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার মামলা সরানোর জন্য জনস্বার্থ মামলা করেন।
সেই মামলা আজ খারিজ করেন প্রধান বিচারপতি। আইনজীবীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন প্রধান বিচারপতি। 'মামলাকারী আইনজীবী এই আদালতে কোনও জনস্বার্থ মামলা করতে পারবেন না।' আইনজীবীকে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। 'মামলার মাধ্যমে আদালতকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে', বলে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার মামলায় মন্তব্য প্রধান বিচারপতির। 



বনধের বিরোধিতায় যে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল, আজ সেই মামলা খারিজ করলেন প্রধান বিচারপতি। খারিজ করার কারণ সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। সঞ্জয় দাস নামে কলকাতা হাইকোর্টের একজন আইনজীবী এই মামলা করেছিলেন। এই সঞ্জয় দাসকে প্রধান বিচারপতি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিলেন। তার পাশাপাশি নির্দেশ দেন, এই সঞ্জয় দাস কলকাতা হাইকোর্টে কোনও ধরনের জনস্বার্থ মামলা করতে পারবেন না। ফলে, বনধের বিরোধিতায় যে মামলা হয়েছিল, সেই মামলা খারিজ করা হল।


এখন প্রশ্ন, এই সঞ্জয় দাসকে কেন প্রধান বিচারপতি জনস্বার্থ মামলা করা থেকে আটকেছিলেন ? কেনই বা তাঁকে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করেছিলেন ? মূলত, বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে যখন পুলিশ নিষ্ক্রিয়তার মামলাগুলি পাঠানো হয়, সেই সময় কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়। সেই মামলার মামলকারীও ছিলেন এই আইনজীবী সঞ্জয় দাস। সেই সময় কলকাতা হাইকোর্টের অবকাশ চলছিল, সেই অবকাশের মধ্যে এই মামলা অত্যন্ত দ্রুত শুনানির প্রয়োজন আছে বলে বিচারপতিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। প্রধান বিচারপতি মামলাকারীর আইনজীবীদের বলেছিলেন, এই সম্পর্কে আইনের কী সংস্থান আছে তা দেখার জন্য। 


কিন্তু, প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, তাঁর সেই পরামর্শ আইনজীবীরা গুরুত্ব দিয়ে দেখেননি। তারপরে এই মামলা অর্থাৎ বিচারপতি অমৃত সিনহার এজলাস থেকে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার মামলা সরানো হোক, এই মামলার মাধ্যমে কলকাতা হাইকোর্টকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে, বিচার ব্যবস্থার আইনি প্রক্রিয়ার অপব্যবহারের চেষ্টা করা হয়েছে, এমনটা মনে করেন প্রধান বিচারপতি। ফলে, আজ শুরুতেই অমৃতা সিনহার এজলাসে যে মামলা ছিল তার বিচার হয়। সেই সময় এই সঞ্জয় দাসকে ৫০ হাজার টাকা জরিমান করেন। পাশাপাশি তিনি কোনও ধরনের জনস্বার্থ মামলা করতে পারবেন না, এই মর্মে নিষেধাঞ্জা জারি করেন। ফলে, তার পরে যখন বনধের বিরোধিতায় দায়ের হওয়া মামলা আসে, সেই মামলা শুনতে চায়নি কোর্ট। ফলে, মামলা খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি।