West Bengal News Live Blog: বাঙালি আবেগকে হাতিয়ার করে মিছিল মমতা-অভিষেকের, রোহিঙ্গামুক্ত ভোটার তালিকার দাবিতে মিছিল শুভেন্দুর
West Bengal News Live Blog Update: একনজরে দেখুন সব জেলার প্রতি মুহূর্তের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ খবর।
ABP Ananda Last Updated: 17 Jul 2025 12:51 AM
প্রেক্ষাপট
কলকাতা: কখনও দিল্লি, কখনও ওড়িশা, বাংলা ভাষায় কথা বলার শাস্তি! কোথাও বিদ্যুতের লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে, তো কোথাও সটান বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে! কেউ আবার হেনস্থার শিকার হয়ে ফিরে...More
কলকাতা: কখনও দিল্লি, কখনও ওড়িশা, বাংলা ভাষায় কথা বলার শাস্তি! কোথাও বিদ্যুতের লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে, তো কোথাও সটান বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে! কেউ আবার হেনস্থার শিকার হয়ে ফিরে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সাক্ষী থেকেছেন!গত কয়েকদিনে বারবার এই ছবি উঠে এসেছে বিভিন্ন রাজ্য থেকে। বাংলাভাষীদের বাংলাদেশি তকমা দিয়ে হেনস্থা বনাম বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ! এনিয়েই আপাতত তোলপাড় চলছে রাজ্য় রাজনীতিতে। এই আবহেই ২১ জুলাইয়ের আগে, ১৬ জুলাই , বুধবার, রাজপথে মিছিলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ভিন রাজ্যে বাংলাভাষী শ্রমিকদের হেনস্থার প্রতিবাদে আজকের এই মহামিছিল। ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তা হাঁটবেন মুখ্যমন্ত্রী। তারই প্রস্তুতি চরমে। সপ্তাহ ঘুরলেই শহিদ দিবসের মহাসমাবেশ তৃণমূলের। তার আগে এই 'বাঙালি হেনস্থার' প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রীর পথে-নামাকে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। অন্যদিকে এই মিছিলকে 'বাঙালিপ্রীতি নয়, বাংলাদেশী প্রীতি' বলে কটাক্ষ করছে বিজেপি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'কেন্দ্রের নোটিফিকেশন আমরা চ্যালেঞ্জ করব। ওই নোটিফিকেশনে বাংলাভাষিদের আটক করার কথা বলা হয়েছে। বাঙালিদের উপর অত্যাচার হলে, ছাড়ব না। দিল্লির লোকেরা কী ভেবেছেন, যা ইচ্ছে তাই করবেন? পশ্চিমবঙ্গের ২২ লক্ষ শ্রমিকের সঙ্গে এসব চলছে, বিজেপি আসলে গরিববিরোধী । মহারাষ্ট্রে হিন্দিভাষীদের বার করে দেওয়ার প্রতিবাদ করেছিল বিজেপি। বাঙালিদের উপর এত রাগ কেন, কী করেছে বাঙালিরা? ভোট এলেই নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা, আর বসে আছে নির্বাচন কমিশন। মহারাষ্ট্রে নাম বাদ দিয়ে জিতেছে বিজেপি। বিহার, বাংলাতেও এই পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে লড়াই করবে তৃণমূল। নির্বাচনের সময় মতুয়াদের বাড়ি গিয়ে ভোট ভিক্ষা করেন, অন্যসময় অত্যাচার করেন। কোচবিহার, নদিয়ায় পুশব্যাক, কী অপরাধ করেছে ওরা? দিল্লির বাঙালিদের পল্লিতে অন্ধকার করে অন্ধকূপ করে দিয়েছে। এই বিজেপি তৈরি থাক, খেলা হবে। লজ্জা নেই সিপিএমের, শূন্য থেকে মহাশূন্য হবে। বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে, আবার খুনের রাজনীতি করতে চায় ওরা। দেখব কত ডিটেনশন ক্যাম্পে বাঙালিদের নিয়ে যান। স্বাধীনতাসংগ্রামে বাঙালিদের অবদান ভুলে গেছেন? নির্বাচন কমিশনে বিজেপির লোক ভর্তি। বাঙালিকে ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখলে, মানুষ বিজেপিকে রাজনৈতিক ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখবে। কলকাতা পুরসভায় বহু বিহারের বাসিন্দা কাজ করেন, আমরা আপত্তি করি? এখানে হিন্দিভাষীরা সব পান, বিজেপিকে বিশ্বাস করবেন না। বাংলার মানুষের উপর বঞ্চনা, লাঞ্ছনা চলছে। নিজেরা ক্ষমতায় থাকবে কি না আগে তাই ভাব বিজেপি। বিজেপি যদি না থামে, থামানোর জন্য যা করতে হবে, তা তৃণমূল কংগ্রেস জানে। যেখানে বাঙালিদের উপর অত্যাচার হবে, সেখানে প্রতিবাদ হবে। এত ছোট করে বিষয়টা দেখবেন না। বাংলা দখল করে, এবার দিল্লি দখলের পথে পা বাড়াবে তৃণমূল। জিরেতে জিএসটি, হিরেতে নেই, কেন জানেন? ওখানে গুজরাতের লোক আছে। আঘাত করলে বুঝবেন, আহত বাঘ কত ভয়ঙ্কর। অত্যাচারের জবাব বাংলা দেবেই'