কলকাতা: জাজেস কোর্ট এবং লোয়ার কোর্টের (Lower Court) অবস্থা খারাপ বলে মানলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। বললেন, "মামলার বিকেন্দ্রীকরণ হওয়া দরকার। হাইকোর্টকে নতুন বিল্ডিং করে দিয়েছি। জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চ হয়েছে। ক্রিমিনাল কোর্টের কথা বলছেন।আমাদের একটু অর্থনৈতিক সঙ্কট চলছে। অর্ডার ক্যারি করার আগে দেখতে হবে, ফান্ডে টাকা আছে কিনা। এক পয়সা খরচের ক্ষেত্রেও অনুমোদন লাগে। আগামী বছরের বাজেট থেকে ৪৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করলাম আলিপুর কোর্টের জন্য। সবুজ নগরী তৈরি করব। আরও উন্নয়ন হবে আলিপুর কোর্টের (Alipore Court)। আইনজীবী যাঁরা কোভিডে মারা গেছেন তাঁদের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হোক, বললেন মমতা।"
আর যা বললেন...
'মানুষ আদালতে আসেন বিচারের আশায়। হয়তো অনেকের অর্থ নেই। কোথায় যাবেন জানেন না, কী করে যাবেন জানেন না। তাঁদের জন্য সরকারের নির্দিষ্ট লিগাল সেল রয়েছে বটে। কিন্তু সেগুলি নিয়ে আরও প্রচার হওয়া দরকার', বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূলনেত্রীর পরামর্শ, যাঁরা প্রথম প্র্যাকটিসে আসেন তাঁরা যেই সিনিয়রদের সঙ্গেই কাজ করুন, এই লিগাল সেলের সঙ্গে যুক্ত করা গেলে তাঁদেরও সিভি সমৃদ্ধ হবে। মমতার কথায়, 'নতুন ও মানবিক কাজ দিয়ে তাঁদের জীবন শুরু হবে।' এর পর আলিপুর বার কাউন্সিলের প্রশস্তি শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীর মুখে। বলেন, 'যে ভাবে সকলকে একত্রিত করে তারা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন, মনে রাখবেন আলিপুর কোর্ট একদিন বিশ্ব মানচিত্রে জায়গা পাবে। কারণ আলিপুর কোর্টে বহু স্বনামধন্য ব্যক্তি জীবনপাত করে পরিশ্রম করেছেন।' জায়গার অভাবে সবসময় যে আদালতের সব আবেদন রাখা যায় না সে কথা মনে করিয়েও মুখ্যমন্ত্রী জানান, কলকাতা হাইকোর্টের জন্য নতুন মহাকরণের ন'তলা পর্যন্ত জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া ১০ একর জমিও দেওয়া হয়েছে রাজারহাটে। জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চও তৈরি করা হয়েছে। তবে জাজেস কোর্ট ও নিম্ন আদালতগুলির অবস্থা যে খারাপ সে কথা মেনে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মতে, পর্যায়ক্রমে সেইগুলিরও উন্নতি করা হবে। এই বাবদে একটি পরিকল্পনা তৈরি করতেও বলেন মুখ্য়মন্ত্রী। সেই সময়ই আলিপুর কোর্টের জন্য বরাদ্দ ঘোষণা করা হয়। বলেন, 'এখানেও যাতে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত মূল্যের আপিল মামলার শুনানি যাতে হয়, সেটি করতে বলব।' তাঁর যুক্তি, এর ফলে নতুন আইনজীবীরা এখানেই অনেক বেশি মামলা লড়তে পারবেন। একই সঙ্গে মামলাগুলি এক জায়গায় কেন্দ্রীভূত থাকবে না, বিশ্বাস তাঁর। তাতে মানুষেরই সুবিধা হবে, বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। পাশাপাশি, কোর্টচত্বরে যে অরবিন্দ মিউজিয়াম রয়েছে সেটি লাগোয়া আলিপুর মিউজিয়ামে আসা দর্শকরাও যাতে দেখতে পান, সেই ব্যবস্থাও করার কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন:কেন ছেড়েছিলেন তৃণমূল ? নন্দীগ্রাম দিবসে ব্যাখ্যা দিলেন শুভেন্দু