কলকাতা : যুক্তি-তক্কো (Jukti Tokko) অনুষ্ঠানের প্রসঙ্গ টানলেন, চ্যানেলের ক্যাচলাইন ধরে 'সীমানা মেনে চলার' কথা মনে করিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। আইনি ব্যবস্থার হুমকির পাশাপাশি বিজ্ঞাপনদাতাদের বিজ্ঞাপন দেওয়া থেকে বিরত থাকতে বললেন। পাশাপাশি জনসাধারণের উদ্দেশে বার্তা দিলেন, 'খবরের চ্যানেল নয় সিরিয়াল দেখুন।' প্রসঙ্গত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ কোনও বিজ্ঞাপন পায় না এবিপি আনন্দ।
মিলনমেলা প্রাঙ্গনের নব কলেবরে বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গণ রূপে উদ্বোধনের মঞ্চে অতিথিদের সামনেই এবিপি আনন্দ-র (ABP Ananda) উদ্দেশে এমনটাই বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আনন্দবাজার পত্রিকা প্রসঙ্গেও তিনি বলেন, 'আনন্দবাজারের তো জুড়ি নেই। শুধু নেগেটিভ, নেগেটিভ আর নেগেটিভ।'
আর মুখ্যমন্ত্রীর যে বক্তব্যের সমালোচনায় মুখর বিশিষ্টরা। অধ্যাপক বিশ্বনাথ চক্রবর্তী (Biswanath Chakraborty) থেকে রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্ত (Paankaj Dutta) সকলেই 'সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার সীমানা টেনে দেওয়ার চেষ্টা' বলে মুখ খুললেন। মধ্যপ্রদেশ হোক বা ওড়িশা স্বাধীন সংবাদমাধ্যমের পদক্ষেপে রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিক্রিয়া কীরকম হতে পারে, সেটা দেখেছে গোটা দেশই। এহেন ঘটনা আগেও কম ঘটেনি।
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে অধ্যাপক বিশ্বনাথ চক্রবর্তীর বক্তব্য, 'কোন খবর কতক্ষণ কীভাবে দেখানো হবে সেটা তো সম্পূর্ণ এডিটোরিয়াল চয়েস। এটাই তো সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা। সেটা অন্য কেউ নির্ধারণ করে দিতে পারেন না। মুখ্যমন্ত্রীও নয়। কোনও রাজনৈতিক নেতা নয়, ভারতবর্ষের সংবিধান সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার অধিকার দিয়েছে।'
রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্ত বলেছেন, 'এর্মাজেন্সি পর্বে কার্যত সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করে দেওয়া হয়েছিল। দিনের পর দিন যার প্রতিবাদে কাগজের সম্পাদকীয় ফাঁকা ছেড়ে রাখা হত। এসে বলা হত কী লিখেছেন দেখান। সেই সময়ের জঙ্গলরাজ বাংলা অতিক্রম করেছে। আর বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে এই ধরনের পরোক্ষ হুমকি বাংলার মানুষ ভাল ভাবে নেমে না।'