কলকাতা: দীর্ঘদিন পর একই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ ভার্চুয়ালি কলকাতায় চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন  প্রধানমন্ত্রীর। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীও যোগ দিয়েছেন।  চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের নতুন ক্যাম্পাসে থাকছে ৪৬০টি বেড। ১০টা অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার। রয়েছে ১২৮টি সিটি স্ক্যান যন্ত্র। এশিয়ার প্রথম সারির ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা এই হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত। হাসপাতাল পরিচালনার দায়িত্ব কেন্দ্র-রাজ্য উভয়েরই।


চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার হাসপাতালের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘ক্যাম্পাস তৈরিতে যা খরচ হয়েছে, তার ২৫ শতাংশ রাজ্য দিয়েছে।  হাসপাতালের জন্য ১১ একর জমিও রাজ্য দিয়েছে।’


মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘এই ক্যাম্পাসের আগেই উদ্বোধন হয়েছে। কোভিডকালে তাতে অনেক সাহায্যও হয়েছে।’


প্রধানমন্ত্রীর সামনেই মেডিক্যালে আসন বাড়ানোর দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।


প্রধানমন্ত্রীর সামনে  মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ‘কোভিড মোকাবিলায় ৪০ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ এখনও পায়নি রাজ্য।’


প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আধুনিক ক্যানসার চিকিত্সার সুবিধা কলকাতার এই কেন্দ্র থেকে পাবে দেশ। নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহে ১৫০ কোটি ভ্যাকসিন ডোজের রেকর্ড। বিশ্বের সামনের সারির দেশগুলির কাছে এটা আশ্চর্যজনক বিষয়। এই রেকর্ড ভারতের নতুন ইচ্ছাশক্তির প্রতীক। এটা আত্মনির্ভরতা ও আত্মগৌরবের প্রতীক।  ভারতে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণ দ্রুতহারে বাড়ছে। প্রবীণদের ৯০ শতাংশ পেয়েছেন ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ। ইতিমধ্যে দেড় কোটি ১৫ ঊর্ধ্ব পেয়ছে ভ্যাকসিন। অন্ধকার যত ঘন হয়, আলোর মাহাত্ম্য তত বাড়ে।  লড়াই যত কঠিন হয়, অস্ত্রের গুরুত্ব তত বাড়ে।  বাংলাকে ১১ কোটি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। বাংলাকে দেওয়া হয়েছে দেড় হাজার ভেন্টিলেটর।  বাংলা-সমেত রাজ্যে রাজ্যে ৮ হাজার জন ওষধি কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে।  এই সব কেন্দ্র থেকে সস্তায় ক্যানসারের ওষুধ বিক্রি হয়।  অমৃত স্টোর থেকেও সস্তায় ক্যানসারের ওষুধ বিক্রি হয়। হাঁটু প্রতিস্থাপনের খরচও কমিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আয়ুষ্মান ভারত আজ গ্লোবাল বেঞ্চমার্ক’