ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: বীরভূমের সিউড়ি, মল্লারপুর, মহম্মদবাজারে এখনও রমরমিয়ে চলছে বালি পাচার। রাত হলেই জাতীয় সড়কে বালি বোঝাই ট্রাক লরির দৌরাত্ম্য চলে। অভিযোগ তুললেন স্থানীয়রাই। এদিকে নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পর বালিপাচার রুখতে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন।


নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে সময় বেঁধে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই, বালি পাচার রুখতে অভিযানে নামেন খোদ জেলাশাসক। কিন্তু অভিযোগ তারপরও, কোথাও নদীর বুকে গর্ত করে তোলা হচ্ছে বালি। কোথাও বালি তুলতে নদীর ওপরই তৈরি করে ফেলা হয়েছে রাস্তা। রাতভর জাতীয় সড়ক ধরে লরি-ট্রাক্টরে করে চলছে বালি পাচার। কোথাও রাস্তার পাশে অবৈধভাবে ডাঁই করে রাখা হয়েছে বালি। এই ছবি বীরভূমের সিউড়ি, মল্লারপুর, মহম্মদবাজার-সহ একাধিক জায়গার।

সিউড়ি শহরের কাছে খটঙ্গায়, জেলাশাসকের বাসভবন থেকে খানিকটা দূরে, নদীর বুকে বড় বড় গর্ত খোঁড়া হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, রাতে মোটর চালিয়ে জল সরিয়ে তোলা হয় বালি। তারপর তা নদীর পাশে স্তূপ করে রাখা হয়। পরে, লরি, ট্রাক্টরে করে নিয়ে যাওয়া হয় অন্যত্র। মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া সময়সীমা পেরিয়ে গেছে। জেলাশাসকের অভিযানেও বালি-পাচার বন্ধ হয়নি। ২ জানুয়ারি নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠকে বীরভূমে বালি পাচার নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে ৭ দিনের সময়সীমা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর, থেকেই বালিপাচার রুখতে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে প্রশাসন। আটক করা হচ্ছে বালি বোঝাই ট্রাক্টর-লরি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, "আমি বীরভূমের ডিএমকে ডাকছি, বিধান। হঠাৎ এমন কী হল যে বালি সবচেয়ে বেশি পাচার ওখানে হচ্ছে? যেখানে ঘাটতি আছে, আমি তোমাকে সময় দিচ্ছি , ৭ দিনের মধ্যে এগুলোকে উদ্ধার কর।''


এর আগে গত ৯ জানুয়ারি রাতে অজয় নদের ওপর নানুরের হোসেনপুর এবং গোমরা বালি ঘাটে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন। সেই সময় একাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল বালি নিয়ে যাওয়ার জন্য। বৈধ চালান দেখাতে না পারায় ৪টি লরিকে আটক করা হয়। অজয় নদ থেকে বালি তোলার সময়ে বাজেয়াপ্ত  করা হয় বেশ কয়েকটি আর্থ মুভার। পাচারের সময় একাধিক বালি বোঝাই লরি আটক করে পুলিশ। একটি খাতাও বাজেয়াপ্ত করা হয়। সেখানে কাকে কত টাকা দেওয়া হয়েছে সেই হিসেব লেখা রয়েছে বলে খবর পুলিশ সূত্রে।


আরও পড়ুন: Bowbazar Metro: দিনগোনার পালা, শুরু মেট্রোর ট্রায়াল রান; জুড়ল শিয়ালদা থেকে হাওড়া